ফের প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় জওহরলাল নেহরু। —ফাইল চিত্র
দেশভাগ থেকে শুরু করে দেশের সিংহভাগ সমস্যার জন্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে দায়ী করে এসেছেন। আজ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাজের প্রশংসা করতে গিয়েও মোদী নাম না-করে নেহরুর সমালোচনা করলেন। নেহরুর সঙ্গে যোগীর তুলনা টেনে মোদীর খোঁচা, নেহরু উত্তরপ্রদেশের ইলাহাবাদ থেকে সাংসদ হয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। সেই ইলাহাবাদের প্রয়াগে কুম্ভের সময় হাজার হাজার মানুষ পদপিষ্ট হয়ে মারা যান। কিন্তু নেহরু মৃত্যুর সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
লকডাউনের পরে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রের আত্মনির্ভর অভিযান ও পরিযায়ী শ্রমিকদের রোজগারের বন্দোবস্ত করতে গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানের অঙ্গ হিসেবে যোগী-রাজ্যে আজ ‘আত্মনির্ভর উত্তরপ্রদেশ রোজগার অভিযান’ শুরু হল। তার সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী যোগী সরকারের প্রশংসা করে বলেন, “উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তুতির জন্যই রাজ্যে করোনা অতিমারির মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মানুষের জীবন বাঁচানো গিয়েছে। মোদী বলেন, “এ জন্য আমি যোগীজিকে অভিনন্দন ও প্রণাম জানাই।”
এই প্রসঙ্গেই ১৯৫৪ সালের কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে বহু মানুষের মৃত্যুর ঘটনা টেনে আনেন মোদী। স্বাধীনতার পরে সেটাই ছিল প্রথম কুম্ভ। নেহরু তখন ইলাহাবাদের ফুলপুরের সাংসদ। তিনিও প্রয়াগে প্রস্তুতি দেখতে গিয়েছিলেন। মোদী বলেন, “সে সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী ইলাহাবাদের সাংসদ ছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
করোনা মোকাবিলায় যোগীর সাফল্য প্রসঙ্গ সম্পর্কে মোদীর বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা ২৪ কোটি। ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেন, ইটালি— ইউরোপের চারটি দেশের সমান। এই চারটি দেশে করোনায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে উত্তরপ্রদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছ’শোর ঘরে। ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক উত্তরপ্রদেশে ফিরলেও পরিস্থিতি আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের প্রশ্ন, “উত্তরপ্রদেশের করোনা মোকাবিলা যদি ভালই চলে, তা হলে গত ১০ দিন কোনও কোভিড সংক্রান্ত বুলেটিন প্রকাশ করেনি কেন? আর আপনিই বা কেন অ-বিজেপি সরকারকে বেছে নিয়ে সমালোচনা করেন, কিন্তু নিজেদের গাফিলতি দেখেও দেখেন না?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy