বনমন্ত্রীর মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস। কাজিরাঙায় গন্ডার শিকারের পিছনে এ বার নাম না করেও অসমের প্রাক্তন বনমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুললেন আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়া।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘গন্ডার শিকারে বনরক্ষীদের জড়িত থাকার অনেক ঘটনাই সামনে এসেছে। পূর্বতন বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেনের আমলে চাকরি পাওয়া সাতশো বনকর্মীর মধ্যে অনেকেই গন্ডার শিকারে জড়িত।’’ চেতিয়ার এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে কংগ্রেস, বন দফতর। প্রমাণ ছাড়া এমন মন্তব্য করায় চেতিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে কংগ্রেস।
এ দিকে তিন দিনের কাজিরাঙা সফর শেষে গন্ডার সংরক্ষণে স্থানীয় যুবকদের নিয়োগ, গ্রামবাসীদের জন্য বিশেষ প্রকল্প ও বনরক্ষীদের অভিযোগ দূর করার আশ্বাস দেন করলেন বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম। রাজ্যের ৭৮ জন ডেপুটি রেঞ্জারের পদোন্নতি দীর্ঘদিন থেকে বকেয়া ছিল। তাঁদের রেঞ্জার পদে উন্নীত করার নির্দেশও দেন। গন্ডারহত্যা রোধে বনকর্মী ও বনকর্তাদের গাফিলতি নিয়ে তদন্তেরও আশ্বাস দেন।
কাজিরাঙায় বনমন্ত্রী সফরের সময়ই অগরাতলি রেঞ্জে একটি স্ত্রী গন্ডারকে মারে শিকারিরা। ফের গন্ডার মারতে তৈরি হচ্ছিল অন্য একটি দল। আগাম খবর পেয়ে বোকাখাতের দুর্গাপুর থেকে শিকারি রণোজ পেগুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি .৩০৩ রাইফেল, ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। বাকি শিকারিরা পালায়।
অন্য দিকে, পাহাড় কাটা ও বন ধ্বংসে মদত দেওয়ার অভিযোগে পলাশবাড়ির রেঞ্জার রবীন বৈশ্যকে সাসপেন্ড করেছে বন দফতর। আগেও সাসপেন্ড হয়েছিলেন তিনি। বন দফতর সূত্রে খবর, মালিয়াটা বনাঞ্চলের নতুন বস্তি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কাটা হচ্ছিল। ৪ জুন ঘটনাস্থলে হঠাৎ সফর করে ক্ষুব্ধ হন বনমন্ত্রী। দক্ষিণ কামরূপ জেলার জেলাশাসক রাজীব বরুয়া কিছু দিন আগে সেখান থেকে পাহাড় কাটার কাজে লাগানো সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। তখন জানা যায়, রেঞ্জারের মদতে ওই কাজ চলছে। সরেজমিন দেখে ও জেলাশাসকের রিপোর্টের ভিত্তিতে রেঞ্জারকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন বনমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy