রাত তখন সোয়া ন’টা। মুম্বইয়ের নাগপাড়ার বাড়িতে বসে বিরিয়ানি খেতে খেতে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ দেখছিল দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কাসকর। হঠাৎ ঠাণে পুলিশের গোয়েন্দাদের দেখে সে চমকে উঠেছিল বলেই দাবি পুলিশ সূত্রের।
তোলাবাজির মামলায় গতকাল দাউদের ভাইকে গ্রেফতার করেছে ঠাণে পুলিশের অপরাধদমন শাখার দল। নির্মাণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। আজ কাসকর ও দাউদের অন্য দুই সহযোগী মমতাজ শেখ ও ইশার আলি জামিল সৈয়দকে আট দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। ঠাণে পুলিশের অফিসারেরা জানিয়েছেন, রাত সোয়া ন’টা নাগাদ নাগপাড়ার সোফিয়া জুবের রোডে গর্ডন হল অ্যাপার্টমেন্টে হানা দেন তদন্তকারীরা। ওই ফ্ল্যাটেই এক সময়ে থাকত দাউদের বোন হাসিনা পার্কার। ২০১৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। গতকাল যে দলটি হানা দেয় তাতে ‘এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট’ সিনিয়র ইনস্পেক্টর প্রদীপ শর্মা ছাড়াও দলে ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার নিভরুত্তি কদম। ঠাণের কমিশনারেট থেকে গোটা অপারেশনের উপরে নজর রাখছিলেন ডেপুটি কমিশনার অভিষেক ত্রিমুখে।
এক পুলিশ অফিসারের কথায়, ‘‘হঠাৎ পুলিশ দেখে একেবারে ঘাবড়ে যায় ইকবাল। বলে, আমি আবার কী করলাম? আমরা বলি বিরিয়ানিটা খেয়ে নাও।’’ সেখান থেকেই গ্রেফতার হয় হাসিনা পার্কারের আত্মীয় ইকবাল পার্কার, মাদক পাচারকারী ইয়াসিন খাজা ও ফার্নান্ডো। পুলিশ জানিয়েছে, পরিচয় গোপন রাখার জন্য ব্যক্তিগত গাড়িতে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িগুলি তৈরি রাখা হয়েছিল। ইকবালের ঘরে ইয়াসিন ও ফার্নান্ডো হাজির থাকায় তদন্তের পরিধি বেড়েছে। ইকবাল মাদক পাচারের চক্রও চালাচ্ছিল কি না তা দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy