উত্তপ্ত উপত্যকায় আবার কি ঘরছাড়া হতে হবে পণ্ডিতদের?
আবার সঙ্কটে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। অবিলম্বে উপত্যকা ছেড়ে চলে যেতে হবে পণ্ডিতদের— এমনই পোস্টার পড়েছে পুলওয়ামায়। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। লস্কর-ই-ইসলাম নামে একটি সংগঠনের নামে এই পোস্টার ছাপানো হয়েছে।
লস্কর-ই-ইসলামের লেটারহেডে টাইপ করা ওই পোস্টারগুলি দেখা গিয়েছে পুলওয়ামার সরকারি কর্মী আবাসনের কাছে। হুমকি পোস্টারে লেখা হয়েছে, সব পণ্ডিত এবং আরএসএস এজেন্টদের উপত্যকা ছেড়ে চলে যেতে হবে, না গেলে ফল ভুগতে হবে। পোস্টারে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘এখানে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য কোনও স্থান নেই, কারণ তারা কাশ্মীরি মুসলমানদের খুন করে কাশ্মীরকে আর একটা ইজরায়েলে পরিণত করতে চায়।’’
লস্কর-ই-ইসলামের নামে এই পোস্টার যে পুলওয়ামায় দেখা যাচ্ছে, তা পুলিশও স্বীকার করেছে। পুলিশ সুপার রইস মহম্মদ ভাট জানিয়েছেন, স্থানীয় দুষ্কৃতীরা এলাকায় সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ সুপারের দাবি, লস্কর-ই-ইসলাম পুলওয়ামা তথা দক্ষিণ কাশ্মীরের সংগঠন নয়। উত্তর কাশ্মীরের সোপোরেই মূলত ওই সংগঠনের কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ। তাদের নামে কারা দক্ষিণ কাশ্মীরে পোস্টার ছড়াচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আশ্রয় শিবিরেই কাটছে শৈশব। এ বার কি তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে?
২০১৫ সালে সোপোরে বিভিন্ন মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে পরিষেবা বন্ধ করার ফতোয়া দিয়ে প্রথম প্রচারের আলোয় আসে লস্কর-ই-ইসলাম। তার পরে সোপোরে একাধিক খুনের ঘটনাও ঘটিয়েছিল তারা। পুলওয়ামায় ওই সংগঠনের নাম করে হুমকি পোস্টার দেখা যাওয়ায় পণ্ডিতদের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্যাকেজের আওতায় এক বছর আগেই উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি দফতরে কাজে যোগ দিয়েছেন এক সময় কাশ্মীর থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়া পণ্ডিত সম্প্রদায়ের অনেকে। তাঁদের হুমকি দিয়ে যে ভাবে পোস্টার পড়তে শুরু করেছে, তাতে বিভিন্ন সরকারি পদে কর্মরত কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ফের উপত্যকা ছাড়তে চাইছেন। অনেকেই জম্মুতে বদলি চেয়ে দফতরে আবেদন জমা দিয়েছেন। সরকারের তরফে অবশ্য পুলওয়ামা জেলা সদরে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমেরিকায় চরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে ফাঁসি পরমাণু বিজ্ঞানীর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy