রায়ান কাণ্ডে ধৃত নাবালক ছাত্র।
সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ আনল রায়ান কাণ্ডে ধৃত নাবালক ছাত্র।
গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরকে খুনের অভিযোগে গত সপ্তাহেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রটিকে। গ্রেফতারের পরে তাকে তিন দিনের হেফাজতে নিয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। তার পর তাঁরা দাবি করেন, স্কুলের পরীক্ষা পিছনোর জন্য প্রদ্যুম্নকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃত ছাত্র। কিন্তু গত কাল সিবিআইয়ের কিছু কর্তা ও জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের আধিকারিকদের সামনে ওই ছাত্র দাবি করেছে, তার উপর অত্যাচার চালিয়ে, তাকে মারধর করে প্রদ্যুম্ন ঠাকুরকে খুনের কথা চাপ দিয়ে বলিয়ে নিয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। একটি ইংরেজি দৈনিকের তরফে এই দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
আপাতত ফরিদাবাদের একটি হোমে রয়েছে ওই ছাত্র। তার বিচার প্রাপ্তবয়স্কদের মতো হবে কি না, তা খতিয়ে দেখবে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের চার সদস্যের একটি কমিটি। যে হোমে ওই ছাত্র রয়েছে, কাল সেখানে গিয়েছিলেন তার পরিবারের লোকজন। সিবিআই অফিসারেরা ওই হোম কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছেন বলেও খবর। সিবিআইয়ের দাবি, হোমে আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না, তা দেখা হবে। ওই হোমের কিশোরদের সঙ্গে মঙ্গল ও শুক্রবার ছাড়া বাড়ির লোকেরা দেখা করতে পারেন না। কাল সোমবার হওয়া সত্ত্বেও কী কারণে ওই ছাত্রের পরিবার হোমে গিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
দিন কয়েক আগে ধৃত ছাত্রকে রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল চত্বরে নিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্গঠন করান গোয়েন্দারা। ওই দৈনিকের দাবি, ধৃত ছাত্র বলেছে, স্কুলে ঢুকে ওয়াটার কুলারের কাছে সে এক বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিল। ওই বন্ধুই তাকে সেখানে যেতে বলেছিল। কয়েক মিনিটের মধ্যে সেই বন্ধু না আসায় সে স্কুলের গানের ক্লাসের শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। কিন্তু গানের ক্লাসের দরজা বন্ধ থাকায় সে ফের ওয়াটার কুলারের কাছে ফিরে যায়। কিন্তু তার সেই বন্ধু তখনও না আসায় সে শৌচাগারে যায়। সেখানে গিয়েই সে দেখে একটি ছেলে রক্ত বমি করছে। তার পরই সে দ্রুত স্কুলের মালিকে গিয়ে খবর দেয়। ডেকে আনে শিক্ষকদেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy