গোয়ার প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরকে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সোমবার পানজিমে। ছবি: পিটিআই।
মনোহর পর্রীকরের মৃত্যুতে উদ্ভূত রাজনৈতিক সঙ্কট কাটাতে মরিয়া হল বিজেপি। সোমবার রাত ২টোয় গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার প্রমোদ সবন্ত।
উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন শরিকদের থেকে দু’জন। মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির (এমজিপি) সুদিন ধাভালিকার এবং গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির (জিএফপি) নেতা বিজয় সরদেশাই। সঙ্গে আরও দশ জন মন্ত্রী।
পর্রীকরের উত্তরাধিকার মনোনীত করা অবশ্য মোটেই সহজ ছিল না বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। মুখ্যমন্ত্রিত্বের জন্য দাবি তুলেছিলেন বিজেপির দুই শরিক এমজিপি এবং জিএফপি। বিজেপির অন্দরেও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ছিলেন প্রমোদ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রাণে। গত কাল রাতেই বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন এবং দুই শরিক দলে আস্থা অর্জনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আজ সন্ধের পর গডকড়ী ইঙ্গিত দেন মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত গোয়ায় ছিলাম। আগে বিষয়টি নিয়ে সহমত হতে পারলে ভাল হত। কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। শরিকদের নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল।’’ গডকড়ীর ওই মন্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই বিজেপির একটি অংশ বলতে শুরু করে, মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সবন্ত। সূত্রের খবর, প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী পর্রীকরের ‘অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত সবন্ত। অনেকেই তাঁকে পর্রীকরের ‘কান’ বলতেন। আবার বিশ্বজিৎ শরিক দল দু’টির কাছে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। তবে শরিকদের উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব দিয়ে সন্তুষ্ট করলেও তাদের সমর্থনের চিঠি জোগাড় করতে বিজেপিকে যথেষ্টই কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বলে সূত্রের খবর। গত কাল রাতে দু’দফায় বৈঠক করেন গডকড়ী। ওই বৈঠকে রাণে উপস্থিত থাকলেও সবন্ত উপস্থিত ছিলেন না।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কংগ্রেস অবশ্য আগেই সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে। আজ নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, ‘‘গোয়ায় বিজেপি কৃত্রিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা তৈরি করেছে। রাজ্যপালের উচিত রাজ্যপালের মতো কাজ করা, কোনও দলের মতো নয়।’’
দুই কংগ্রেস বিধায়ক সুভাষ শিরোদকার এবং দয়ানন্দ সোপতে ইস্তফা দিয়েছেন, পর্রীকর এবং বিজেপি বিধায়ক ফ্রান্সিস ডি’সুজা প্রয়াত— ফলে ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় চারটি আসন এখন খালি। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের ১৪, বিজেপির ১২ জন বিধায়ক রয়েছে। তিন জন করে বিধায়ক এমজিপি এবং জিএফপি-র। এছাড়াও তিনজন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন এবং এনসিপির বিধায়ক সংখ্যা এক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy