—ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের নির্বাচন পরিকল্পনার দায়িত্ব নিতে চাইছেন জেডিইউ সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর। আর তাতেই দলের অভ্যন্তরে ঝড় উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমেছেন খোদ জেডিইউ সভাপতি তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আজ তিনি বলেন, “দলের মধ্যেই এর ব্যাখ্যা দেবেন প্রশান্ত।” আগামী কাল পটনায় জেডিইউয়ের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সেখানেই প্রশান্ত কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাখ্যা দেবেন বলে নীতীশ জানান।
প্রশান্তের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের বিষয়ে তাঁর কোনও ধারণা নেই বলে নীতীশ জানান। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব প্রশান্ত নিচ্ছেন, এই কারণে বিজেপির সঙ্গে জেডিইউয়ের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জেডিইউ মুখপাত্ররাই এ নিয়ে দলের কাছে প্রশান্তের ব্যাখ্যা দেওয়ার দাবি করেন। যদিও ঘনিষ্ঠ মহলে প্রশান্ত জানিয়েছেন, বিজেপির সঙ্গে বিহারের বাইরে কোনও জোট নেই জেডিইউয়ের। তাই এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে জেডিইউয়ের প্রার্থী দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন তিনি। তবে তাতে জেডিইউয়ের নেতাদের তোপের মুখ থেকে তিনি রক্ষা পাবেন বলে মনে করছে না রাজনৈতিক মহল। গত বছর দলে যোগ দেওয়ার পরে তাঁকে জেডিইউয়ের সহ-সভাপতি করা হয়। তা নিয়ে এই নির্বাচন-কৌশলীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে। এ বার সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। নীতীশ এ দিন মনে করিয়ে দেন, দল প্রশান্তকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছে। সংগঠন তাঁর দেখানো পথেই চলবে। স্বাভাবিক ভাবেই অন্য কার হয়ে প্রশান্তের কোম্পানি কাজ করবে, সেটা তিনিই ভাল বলতে পারবেন। সে কারণেই দলের জাতীয় কর্মসমিতির সামনে ব্যাখ্যা দিতে হবে প্রশান্তকে।
সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশে জগন্মোহন রেড্ডির হয়ে প্রচার সামলেছেন প্রশান্ত। নির্বাচনে ১৭৫টি আসনের মধ্যে ১৫০টি জিতেছে রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস। তার পরেই গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনী পরিকল্পনার চুক্তিটি পাকা করেন প্রশান্ত। লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি জিতেছে বিজেপি। তার জেরেই প্রশান্তের পরামর্শ নিতে চাইছে তৃণমূল।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy