প্রতীকী ছবি।
ক্লাস শেষ হওয়ার পর দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রকে নিজের অফিসে ডেকে নিয়ে যেতেন স্কুলের অধ্যক্ষা। পাশে বসিয়ে রাখতেন। কখনও কখনও ছাত্রটিকে নিজের বাড়িতেও নিয়ে যেতেন। শুধু তাই নয়, ছাত্রটিকে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতেও বাধ্য করেন। এমনই অভিযোগ উঠেছে পঞ্জাবের একটি স্কুলে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর অধ্যক্ষাকে সাসপেন্ড করে রাজ্য শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের চেষ্টা রুখে হামলাকারীর জিভ কামড়ে ছিঁড়ে নিলেন মহিলা
পঞ্জাবের পাটিয়ালার মর্দানপুরের একটি সরকারি স্কুলে পড়ে ওই ছাত্র। অভিযোগ, প্রায় দিনই স্কুলের অধ্যক্ষা ছাত্রটিকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করতেন। এক দিন ছাত্রটি প্রতিবাদ করায় স্কুল থেকে তার নাম কেটে দেন অধ্যক্ষা। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ বিষয়টি প্রকাশ্যে আনে ছাত্রটি। তার পরই শুরু হয় গণ্ডগোল। ছাত্রটির অভিভাবক এবং অন্য অভিভাবকরা স্কুলে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা অধ্যক্ষার শাস্তির দাবি করেন। অভিযোগ তোলেন, অধ্যক্ষা অসহায়তার সুযোগ নিয়ে এই কর্মকাণ্ড চালাতেন। বিষয়টি শিক্ষা দফতরে পৌঁছলে রাজ্যের শিক্ষা সচিব কৃষ্ণ কুমার অধ্যক্ষাকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেন। তিনি জানান, অভিভাবক, ছাত্র এবং স্কুলের অন্য কর্মীদের বয়ান নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানির নালিশ, বেধড়ক মার স্কুল শিক্ষককে
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। তবে সে সময় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়নি। অভিযোগ উঠেছিল রাজনৈতিক যোগাযোগ থাকার কারণেই নাকি অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এ বারের ঘটনায় তাঁকে রেহাই দেয়নি রাজ্য শিক্ষা দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy