বিজেপির আইটি সেলের এক সময়ের মাথা প্রদ্যোৎ বোরা। -ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর তাঁর টিমের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি শাখা (আইটি সেল)-র এক সময়ের মাথা প্রদ্যোৎ বোরা। বললেন, তাঁর হাতে গড়া ‘‘ওই শাখাটিকে মোদী ও তাঁর টিম ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দৈত্য’ বানিয়ে দিয়েছেন।’’ এও বললেন, দলের সভাপতি না বদলালে বিজেপির আইটি সেলেরও হাল ফেরানো যাবে না।
‘হাফিংটন পোস্ট ইন্ডিয়া’ ওয়েবসাইটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রতিষ্ঠাতা। ২০০৭ সালে তাঁর হাত ধরেই জন্ম হয়েছিল বিজেপির আইটি শাখার। তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট প্রদ্যোৎ ২০০৪ সালে যোগ দেন বিজেপিতে।
প্রদ্যোত জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে তিনি যখন বিজেপির তদানীন্তন সভাপতি রাজনাথ সিংহের মিডিয়া সহকারী ছিলেন, সেই সময় উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের ঠিক মুখে তিনি ওই আইটি সেল চালু করেছিলেন, মূলত রাজনাথেরই পরামর্শে।
আরও পড়ুন- কাশ্মীর-মন্তব্যে ভুগল কংগ্রেস
আরও পড়ুন- ছবি-মন্তব্যে স্ববিরোধ, মুকুলকে কি ফের জেরা?
প্রদ্যোতের বক্তব্য, সেই সময় যে লক্ষ্য নিয়ে ওই আইটি সেল চালু করেছিল বিজেপি, পরে মোদী আর তাঁর দলবল যে তা শুধুই বদলেছে তা নয়; সেলটিকে একেবারেই উল্টো দিকে নিয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘দলের সভাপতি না বদলালে আইটি সেলের হালও ফেরানো যাবে না।’’
কী উদ্দেশ্যে বিজেপির আইটি সেল চালু করা হয়েছিল?
প্রদ্যোতের কথায়, ‘‘মূলত তিনটি লক্ষ্য ছিল। প্রথমত, সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। দ্বিতীয়ত, ভোটারদের কাছে সহজে পৌঁছনো। তৃতীয়ত, নীতিগত অবস্থান নিয়ে দলকে পরামর্শ দেওয়া।’’
২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি হেরে যাওয়ার পর দলের আইটি শাখার দায়িত্ব নীতীন গাডকারির হাতে তুলে দিয়ে দলের অসম শাখার সাধারণ সম্পাদক করা হয় প্রদ্যোতকে।
প্রদ্যোতের অভিযোগ, ২০১৪-য় লোকসভা ভোটের আগে দলের আইটি সেলের মাধ্যমে জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েন মোদী আর তাঁর টিম। আর সেই সময় থেকেই অবনমন শুরু হয় বিজেপির আইটি সেলের।
প্রদ্যোত জানিয়েছেন, ২০১৪-য় লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি যখন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করে মোদীর, তখন তিনি তাঁর তুমুল বিরোধিতা করেছিলেন। তবে দল ছাড়েন মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ১০ মাস পর, ২০১৫ সালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy