ফাইল চিত্র।
মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে সংঘর্ষ বাধল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানকার ছাত্রদের সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের হিন্দু যুবা বাহিনীর লোকজনের সংঘর্ষ থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয় পুলিশকে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, জখম হয়েছেন অন্তত ২০ জন ছাত্র। পুলিশ হিন্দু যুবা ব্রিগেডের কয়েক জনকে আটক করলেও কিছু ক্ষণের মধ্যে সঙ্গীরা বড়সড় দল নিয়ে এসে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
বুধবার প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারিকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের আজীবন সদস্য করে নেওয়ার অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তা স্থগিত রাখতে হয়েছে। ১৯৩৮ সালে জিন্নাকেও এমনই সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল। সেই সূত্রে হলেও, এখনও কেন পাকিস্তানের জনকের ছবি থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ে— প্রশ্ন তোলেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সতীশ গৌতম। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র সাফে কিদোয়াই বলেন, ‘‘আজীবন সব সদস্যেরই ছবি রয়েছে এখানে।’’ মুখ খোলেন মোদী সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। বলেন ‘‘সময় পাল্টেছে। আশা করি, দেশপ্রেমিক এই বিশ্ববিদ্যালয় মানুষের ভাবাবেগকে মর্যাদা দিয়ে শান্তিতে বিষয়টি মিটিয়ে নেবে।’’
কিন্তু এর পরই একের পর এক খবর ছড়াতে থাকে, ছবিটি ওখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং জিন্নাকে ‘মহাপুরুষ’ আখ্যা দিয়েছেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী স্বামীপ্রসাদ মৌর্য। উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বিজেপির রাজ্যসভা সদস্য হরনাথসিংহ যাদব টুইট করেন, ‘‘দেশকে যিনি তিন টুকরো করেছেন, এমন জঘন্য অপরাধীর প্রশংসা করার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে মৌর্যকে। দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে তাঁকে। মৌর্য অবশ্য পরে বলেন, এমন কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। এরই মধ্যে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে হাঙ্গামা বাধায় হিন্দু যুবা বাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy