মুখোমুখি বাবা-মেয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
তিরিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে পুলিশে কাজ করছেন বাবা। আর মেয়ে পুলিশ সার্ভিসে এসেছেন সবে চার বছর। কিন্তু রবিবার মুখোমুখি হতেই বাবা স্যালুট করলেন মেয়েকে। কারণ, পদমর্যাদায় মেয়ে তাঁর থেকে অনেকটাই এগিয়ে।
বাবা এ আর উমামহেশ্বরা শর্মা তেলঙ্গনা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ। আর মেয়ে সিন্ধু শর্মা তেলঙ্গানার জাগতিয়াল জেলার সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ, ২০১৪ ব্যাচের আইপিএস আধিকারিক।পদমর্যাদায় বাবার থেকে অনেকটাই এগিয়ে। দু’জনেই পুলিশ সার্ভিসে থাকলেও কখনও মুখোমুখি হননি। রবিবার হায়দরাবাদের কাছেই তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সভায় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন দু’জনেই। সেখানেই প্রথমবারের জন্য মুখোমুখি হন তাঁরা। আর দেখা হতেই ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভুলে সিনিয়র পদমর্যাদার মেয়েকে স্যালুট করলেন বাবা।
‘‘এই প্রথমবারের জন্য কর্তব্যরত অবস্থায় মুখোমুখি হলাম আমরা। এক সঙ্গে কাজ করতে পারায় আমি গর্বিত। ও আমার থেকে সিনিয়র, তাই স্যালুট করেছি।’’ ঘটনার পর জানিয়েছেন উমামহেশ্বরা শর্মা। সাব ইনস্পেক্টর হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। একাধিক পদোন্নতির পর এই মুহূর্তে এসে পৌঁছেছেন আইপিএস পদমর্যাদায়।
আরও পড়ুন: দুই হিন্দু নেতাকে খুনের ষড়যন্ত্র, তামিলনাড়ুতে গ্রেফতার ৫ জঙ্গি
টিআরএসের সভায় মহিলাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন মেয়ে সিন্ধু শর্মা। সভা শেষে জানিয়েছেন, ‘‘বাবার সঙ্গে একই জায়গায় কাজ করতে পেরে আমি খুব খুশি।’’
বাড়িতে বাবা-মেয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
আরও পড়ুন: কোষাগার বেহাল, ভোটের খরচ জোগাড়ের পথ খুঁজতে ‘ওয়ার রুম’ বৈঠক ডাকল কংগ্রেস
কাজের জায়গায় মেয়ে ‘বস’, বাবা অধস্তন। দু’জনেই জানাচ্ছেন, বাড়িতে ‘বস’ কিন্তু একজনই। সিন্ধুর মা ওরফে উমামহেশ্বরা-র স্ত্রী! দু’জনকেই থাকতে হয় তাঁর অধস্তন কর্মী হিসেবেই।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy