ফাইল চিত্র
দলীয় নেতৃত্বের প্রশ্নের মুখে পড়ে উত্তরপ্রদেশে সর্বজনীন দুর্গাপুজো করার ছাড়পত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
দশমীর দিন রামলীলা হলে সমস্যা নেই। কিন্তু সর্বজনীন দুর্গাপুজোর অনুমতি দেওয়া হবে না বলে ফরমান জারি করেছিল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। মাথায় হাত পড়ে যায় উত্তরপ্রদেশের দুর্গাপুজো উদ্যোক্তাদের। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা বলে ওই নির্দেশ জারি হলেও প্রশ্ন ওঠে বিজেপির অন্দরমহলে। রামলীলায় কেন ছাড় দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেক বাঙালি বিজেপি সাংসদই। যোগী আদিত্যনাথের ওই সিদ্ধান্ত ‘অযৌক্তিক’ বলে সুর চড়ান বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দু’দিন আগে আদিত্যনাথকে চিঠি লিখে ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান।
রাজ্য বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজো করায় প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে, প্রশাসনের নির্দেশে নির্দিষ্ট দিনে বিসর্জন দেওয়া যায় না বলে এত দিন তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব থেকেছে আমাদের দল। এখন বিজেপি-শাসিত রাজ্যে যদি দুর্গাপুজো বন্ধ হয়, তা হলে নির্বাচনের আগে তার রাজনৈতিক ফায়দা নেবে তৃণমূল।’’ বিষয়টি জানানো হয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও। আজ দুপুরে সিদ্ধান্ত পাল্টায় আদিত্যনাথ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: পুলিশেরই দোষ আসলে, বিজেপি নেতাদের এক রা
‘রিওপেনিং’ সংক্রান্ত নির্দেশিকায় দুর্গাপুজো, রামলীলা ছাড়াও রাজনৈতিক জনসভা করার অনুমতি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। নয়ডা কালীবাড়ি (সেক্টর ২৬) পুজোর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অনুপম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা তো ঘট পুজো করার প্রস্তুতি সেরে ফেলছিলাম। আজকের সিদ্ধান্তের পরে আগামিকাল কমিটির সদস্যেরা বৈঠকে বসে প্রতিমা পুজোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। কারণ, এত কম সময়ে মূর্তি তৈরি করাই মূল সমস্যা। তা ছাড়া, ঢাকিদের এ বার আসতে বলা হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy