এ বার কুমারী পূজাও হবে পাবলিক স্কুল রোডে। সে জন্য চলছে দক্ষিণ বিলপার সর্বজনীন পূজা কমিটির বিশেষ প্রস্তুতি। তবে বাড়তি অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন পড়ছে না। অতিরিক্ত কেনাকাটার ব্যাপার নেই। ভাবনাটা আরও কঠিন জায়গায়।
পুজো কমিটির সম্পাদক তমাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শুরুতেই ধন্দে পড়তে হয়েছে, মঠ-মন্দির ছাড়া সর্বজনীন আয়োজনে কুমারী পূজা হয় কি না।’’ নিজেরা সমাধান বের করতে না পারায় যোগাযোগ করা হয় বেলুড় মঠের স্বামী তত্ত্ববিদানন্দ মহারাজের সঙ্গে। তাঁর সম্মতি পেয়েই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। কিন্তু পূজার জন্য কুমারী বাছাই করাও কম কঠিন কাজ নয়। নানা শর্ত। শেষ পর্যন্ত এই কাজটিও তাঁরা প্রায় সেরে নিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন তমালবাবু। তাঁর বক্তব্য, প্রতিটি রমণীর মধ্যে মায়ের উপস্থিতি বর্তমান, এই বার্তা ছড়িয়ে দিতেই দুর্গামণ্ডপে কুমারী পূজা করছেন তাঁরা।
শিলচরে দুর্গোৎসবে কুমারী পূজা অবশ্য নতুন নয়। ২০০৪ সাল থেকে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আদালত প্রাঙ্গণের পূজায় কুমারী পূজা হচ্ছে। একই রীতির প্রচলন রয়েছে ভকতপুর সর্বজনীন পুজোমণ্ডপেও।
দক্ষিণ বিলপার পুজো কমিটির সভাপতি বিমল খান সহ সুব্রত রায়, দেবাশিস সোম জানান, এ বারের পুজোয় পাড়ার মহিলাদেরও বিশেষ ভাবে যুক্ত করা হয়েছে। দশমীর দিন সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চলবে সিঁদুর খেলা। দক্ষিণ বিলপার সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি কুশাসনের মণ্ডপ তৈরি করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy