পুলওয়ামার ঘটনাস্থল। -ফাইল ছবি।
পুলওয়ামার লেদপোরায় ১৪ ফেব্রুয়ারির আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ঘটনাস্থল বুধবার পরিদর্শন করলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র ডিরেক্টর জেনারেল। বুধবার ডিজি ওয়াই সি মোদী ছাড়াও এনআইএ তদন্তকারীদের দলে ছিলেন তদন্তকারী সংস্থার দুই আইজি, এক ডিআইজি এবং এক জন এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক।
জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের উপর ওই হামলাস্থলে এনআইএ তদন্তকারীদের সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের পদস্থ কর্তারা। এ দিন পুলওয়ামা হামলার ঘটনায় সরকারি ভাবে তদন্তভার হাতে তুলে নিয়ে নতুন করে এফআইআর নথিভুক্ত করে এনআইএ।
ঘটনার পর দিনই এনআইএ এবং এনএসজির ন্যাশনাল বম্ব ডেটা সেন্টারের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। সেই নমুনার মধ্যে হামলায় ব্যবহৃত আইইডি-র স্প্লিন্টার থেকে শুরু করে বিস্ফোরকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেখান থেকে বিশেষজ্ঞsরা আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহার করা বিস্ফোরক বোঝাই লাল রঙের মারুতি ইকো গাড়ির ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন- মতান্তরকে আমরা সমাজে পীড়ন করিতেছি... ১১০ বছর আগে লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, ঠিক যেন আজকেরই কথা
আরও পড়ুন- সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক, দাবি লেগস্পিনার চহালের
এনআইএ সূত্রে খবর, ওই নমুনা পরীক্ষা করে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই হামলায় ৭০ কিলোগ্রামের বেশি সামরিক ব্যাবহারের জন্য নির্দিষ্ট উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই বিস্ফোরক সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহার্য আরডিএক্স হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
মঙ্গলবারই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কাশ্মীরে মোতায়েন সেনার ভিক্টর বাহিনীর মেজর জেলারেল কানওয়ালজিৎ সিংহ ধিলোঁ দাবি করেছিলেন, পুলওয়ামা হামলায় সরাসরি তাঁরা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর যোগ খুঁজে পেয়েছেন। তিনি তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু বিশদে জানাতে না চাইলেও, সেনা সূত্রে খবর, কয়েক মাস ধরে ওই বিস্ফোরক পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেনা গোয়েন্দাদের সন্দেহ, পশুপালকরা যারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পশু নিয়ে যান তাঁদের ব্যবহার করা হয়েছে ওই বিস্ফোরক নিয়ে আসতে। সেনা সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ-ছ’ কিলোমিটার দূরেই ওই গাড়িতে আইইডি ভরা হয়েছিল। সেনা গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ওই বিস্ফোরকের অব্যবহৃত অংশ অন্য কোথাও লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সেই বিস্ফোরক উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে সেনা এবং পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy