কঙ্গনা রানাউত ও শাবানা আজমি। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
পুলওয়ামায় জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান সফর বাতিল করেছেন শাবানা আজমি এবং তাঁর স্বামী জাভেদ আখতার। শাবানার বাবা কাইফি আজমিকে নিয়ে আয়োজিত সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও সমালোচনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন না ওই দম্পতি। পাঁচবারের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী ওই অভিনেত্রীকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে আক্রমণ করে বসলেন তাঁরই সতীর্থ কঙ্গনা রানাউত!
শাবানার বাবা কাইফি আজমি বিখ্যাত উর্দু কবি। এ বছর তাঁর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে করাচি আর্ট কাউন্সিলের তরফে দু’দিন ব্যাপী সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন শাবানা-জাভেদ। কিন্তু কাইফি আজমির জন্মদিন ১৪ ফেব্রুয়ারিতেই দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপি-র কনভয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তাতে ৪০ জন জওয়ান প্রাণ হারান। সেই হামলার প্রতিবাদে করাচির অনুষ্ঠানে যাওয়া বাতিল করেন শাবানা।
কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ‘কোন আক্কেলে করাচি যেতে রাজি হয়েছিলেন তিনি’, এই প্রশ্ন তুলেছেন কঙ্গনা রানাউত। সংবাদ মাধ্যমে কঙ্গনা বলেন, ‘‘শাবানার মতো মানুষরাই ভারত ভাগে উত্সাহ দেন। আবার লোক দেখাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করেন। উরি হামলার পর পাকিস্তানি শিল্পীরা এ দেশে নিষিদ্ধ। তার পরেও কোন আক্কেলে করাচি যাওয়ার কথা ভাবলেন উনি? এখন গা বাঁচাতে হবে তো! তাই অনুষ্ঠান বাতিল করে নাটক করছেন।’’
আরও পড়ুন: পুলওয়ামা নিয়ে সিধুর মন্তব্যে বিতর্ক, নেটিজেনদের কোপে ‘দ্য কপিল শর্মা শো’
আরও পড়ুন: আত্মরক্ষার্থে ভারতের যে কোনও পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন করা হবে, জানিয়ে দিল আমেরিকা
শুধু শাবানাকে আক্রমণ করেই ক্ষান্ত হননি কঙ্গনা। শাবানাদের মতো ‘দেশদ্রোহী’তে বলিউড ঠাসা বলেও দাবি করেন কঙ্গনা। তাঁর কথায়, ‘‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এমন দেশদ্রোহীতে ঠাসা। নানাভাবে এরাই শত্রুপক্ষের মনোবল বাড়ায়। তবে এ বার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। পাকিস্তানের উপর শুধুমাত্র নিষেধাজ্ঞা বসালে চলবে না, দেশটাকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে।’ ’
তবে, এই মুহূর্তে কঙ্গনার মন্তব্যকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে চান না শাবানা আজমি। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘পুলওয়ামায় হামলার নিন্দায় সরব গোটা দেশ। এই দুঃসময়ে কারও ব্যক্তিগত আক্রমণে আমার কিচ্ছু যায় আসে না।’’
যদিও এই প্রথমবার নয়, শাবানা আজমি ও জাভেদ আখতারকে আগেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন কঙ্গনা। হৃতিক রোশনের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত ঝামেলার সময়, শাবানা-জাভেদ তাঁর পাশে দাঁড়াননি বলে অভিযোগ কঙ্গনার। যে কারণে পরবর্তীকালে ‘পদ্মাবত’ নিয়ে করণী সেনার হম্বিতম্বি শুরু করলে, দীপিকা পাড়ুকোনের হয়ে শাবানা আজমির পিটিশনেও সই করেননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy