দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাশ্মীরিদের হেনস্থার খবর মিলছে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ছবি: পিটিআই।
পুলওয়ামায় জঙ্গি-হামলার পরেই ঘরভাড়া ছেড়ে দিতে বলা হয়েছিল দেহরাদূনে পড়াশোনার সূত্রে থাকা বেশ কিছু কাশ্মীরি পড়ুয়াকে। জঙ্গি হামলায় একসঙ্গে ৪৯ সিআরপি জওয়ানের মৃত্যুর পরে এ ভাবেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাশ্মীরিদের হেনস্থার খবর মিলছে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা ওই কাশ্মীরিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা আজ বলেন, ‘‘কাজ বা পড়াশোনার সূত্রে ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা কাশ্মীরিরা নানা ভাবে আক্রমণের মুখে পড়ছেন। বেশ কিছু রিপোর্ট এসেছে আমাদের কাছে। এমন ঘটনা রুখতে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’’
দেহরাদূনের পুলিশের মুখপাত্র এ দিন বলেছেন, ‘‘এই ঘটনার পরে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই কাশ্মীরি পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’’ দেহরাদূনের মতো ঘটনা ঘটেছে পঞ্জাবেও। অম্বালা সংলগ্ন মুলানা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে এলাকায় ভাড়া থাকা কাশ্মীরি পড়ুয়াদের অবিলম্বে ঘর খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অন্তত ৬ কাশ্মীরি পড়ুয়া ভাড়া বাড়ি ছেড়ে এমএম বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে সরে গিয়েছেন। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, মুলানা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান নরেশ রানা এমনই নির্দেশ দিচ্ছেন গ্রামবাসীদের। এলাকায় ভাড়ায় থাকা অনেক কাশ্মীরি পড়ুয়াই রহস্যজনক কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ গ্রামপ্রধানের।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাশাপাশি কাশ্মীরে হামলার নিশানা সিআরপি-ও টুইটারে জানিয়েছে, কাশ্মীরিরা হেনস্থার শিকার হলে হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১১-এ ফোন করে বা ৭০৮২৮১৪৪১১-এ এসএমএস করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। ঘটনাচক্রে এ দিন দিল্লিতে পাকিস্তানি ও চিনা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ সামলাতে মোতায়েন করা হয় সিআরপি-কেই।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাশ্মীরিদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে অনুরোধ করেছেন কেন্দ্রকে। তিনি বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে বিষয়টি দেখতে কাছে অনুরোধ করেছি।’’ একই অনুরোধ জানিয়েছেন আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy