প্রতীকী ছবি।
মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে ফের কুসংস্কার এবং হাতুড়ে চিকিৎসকদের শিকার হল রাজস্থানের দুই শিশু। প্রথম ঘটনাটি ঘটে ভিলওয়ারা জেলায় গত ২০ মার্চ। জ্বর-সর্দি-কাশিতে সংক্রামিত ৪ মাসের এক শিশুকন্যাকে তার পরিবার চিকিৎসার জন্য হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। ওই চিকিৎসক শিশুটির সারা গায়ে নাকি গরম রডের ছ্যাঁকা দিয়ে দেন। গত সোমবার আরও মর্মান্তিক এবং ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে।
রাজস্থান পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত মাত্র ১ মাসের এক শিশুর চিকিৎসা করতে তার গলায় অ্যাসিড ঢেলে দেন এক হাতুড়ে চিকিৎসক। গুরুতর জখম অবস্থায় শিশুটি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সম্প্রতি রাজস্থানের মাধোপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ পেয়ে ওই হাতুড়ে চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই হাতুড়ে চিকিৎসক মাধোপুরের বিনোবা বস্তির বাসিন্দা। ওই বস্তিতেই তিনি চিকিৎসা করেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস রোগ সারানোর অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। তাই শিশুদের সুস্থ করতে আসেপাশের বাসিন্দারা তাঁর উপরই ভরসা করেন এবং তাঁর চেম্বারে সব সময়ই অসুস্থ শিশুদের ভিড় লেগে থাকে।
আরও পড়ুন: ‘যদি কোনও একটা কাজ করতে পারতাম’
এক মাসের ওই শিশুটির কয়েক দিন ধরেই নিউমোনিয়ায় ভুগছিল। অভিভাবকরাই তাকে ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। জানা গিয়েছে, সেখানে নিউমোনিয়া সারাতে অ্যাসিড খাওয়ানো হয় তাকে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে অ্যাসিডে জ্বলতে শুরু করে শিশুটির বুক, গলা, পা (অ্যাসিড খাওয়ার সময় তার পায়েও কিছুটা ছিটকে পড়েছিল)।
নিউমোনিয়া সেরে যাওয়ার বদলে শিশুটির অবস্থায় অবনতি হতে শুরু করে। তার পরিবার তাকে স্থানীয় মাধোপুর হাসপাতালে ভর্তি করান। এর পরই হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই পুলিশে খবর দেন।
শুধু এই দুই ঘটনাই নয়, রাজস্থানে বারবারই এমন ঘটনা সামনে আসে। গত মাসে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা করাতে গিয়ে এক ১০ মাসের শিশুর মৃত্যু হয়। তাকেও গলায় গরম রডের ছ্যাকা দেওয়া হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy