Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

অতীত ভুলে রাহুলের বাড়িতে চন্দ্রবাবু, কার্যত মানলেন বিরোধী জোটের নেতা হিসাবে

রাহুলের সঙ্গে বৈঠকের পরে চন্দ্রবাবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘কংগ্রেসই প্রধান বিরোধী দল। তবে অন্য বিরোধী দলগুলিরও গুরুত্ব রয়েছে। দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা হিসেবে রাহুল গাঁধীকে অনুরোধ করেছি বাকিদের সঙ্গেও কথা বলতে। বিজেপিকে হারাতে সকলে মিলে একটি অভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে।’’

সাদর: রাহুল গাঁধীকে উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে। পিটিআই

সাদর: রাহুল গাঁধীকে উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে। পিটিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:১৬
Share: Save:

মার্চ মাসে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে এনডিএ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। আর নভেম্বরের প্রথম দিনে দিল্লিতে ১২ তুঘলক লেনে গিয়ে রাহুল গাঁধীকেই কার্যত বিরোধী জোটের নেতা মানলেন তিনি।

রাহুলের বাড়িতে অনেক দলের নেতাই দেখা করতে যান। কিন্তু কোনও নেতাকে নিয়ে বাড়ির বাইরে হেঁটে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা বেনজির। রাহুল আজ সেটাই করলেন চন্দ্রবাবুকে নিয়ে। যে চন্দ্রবাবুর শ্বশুরমশাই এন টি রাম রাও কংগ্রেসকে হারাতেই নতুন দল গড়েছিলেন। আর তাঁর পথ ধরে যে চন্দ্রবাবু বহু দিন ধরে রাজ্যে কংগ্রেস-বিরোধী রাজনীতি করছেন। সেই তেলুগু দেশম নেতাকে নিয়েই আজ বাড়ি থেকে বেরোলেন কংগ্রেস সভাপতি। দু’জনে মানলেন, ‘অতীত’ রয়েছে বটে। কিন্তু এখন বর্তমান আর ভবিষ্যতের জন্য কাজ করবেন।

গত সপ্তাহে দিল্লিতে এসে নায়ডু মায়াবতী, অরবিন্দ কেজরীবাল, যশবন্ত সিনহা, শরদ যাদবদের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। আজ রাহুলের বাড়ি যাওয়ার আগে শরদ পওয়ারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। সেই আলোচনায় ছিলেন ফারুক আবদুল্লাও। এ দিন অরুণ শৌরি, অজিত সিংহের সঙ্গেও দেখা করেন নায়ডু। মোদী-বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সেরে নায়ডু পৌঁছন রাহুলের বাড়িতে। উপহার হিসেবে বীণা আর শাল নিয়ে গিয়েছিলেন।

রাহুলের সঙ্গে বৈঠকের পরে চন্দ্রবাবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘কংগ্রেসই প্রধান বিরোধী দল। তবে অন্য বিরোধী দলগুলিরও গুরুত্ব রয়েছে। দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা হিসেবে রাহুল গাঁধীকে অনুরোধ করেছি বাকিদের সঙ্গেও কথা বলতে। বিজেপিকে হারাতে সকলে মিলে একটি অভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে।’’

তা হলে মোদী-বিরোধী জোটের মুখ কে হবেন?

রাহুলের স্পষ্ট জবাব, ‘‘সেটি পরের বিষয়। এখন লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। বেকারি, কৃষকদের দুরবস্থা, দুর্নীতি, রাফালে অনিল অম্বানীকে ৩০ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার মতো বিষয়গুলি নিয়ে সকলে ভোটে লড়বে।’’ কিন্তু রাফাল নিয়ে রাহুল যেমন সক্রিয়, বাকিরা নয় কেন? চন্দ্রবাবু এগিয়ে এসে বলেন, ‘‘ভুল। আমি নিজেও রাফাল নিয়ে সরব হয়েছি। রাহুল এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সবাই মিলে যখন একসুরে সরব হবে, তার প্রভাব অনেক বেশি পড়বে।’’ রাহুলের নেতৃত্ব প্রসঙ্গে পরে চন্দ্রবাবুর মন্তব্য, ‘‘মোদীর থেকে যে কেউ ভাল নেতা হতে পারেন।’’ সীতারাম ইয়েচুরি, মুলায়ম ও অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন চন্দ্রবাবু।

বিজেপি বলছে, নিজের তাগিদে রাহুলের শরণাপন্ন চন্দ্রবাবু। রাজ্যে ভাল অবস্থায় নেই তিনি। চন্দ্রবাবু ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তবে অনেকের মতে, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রের ভোটে কংগ্রেস-তেলুগু দেশম সমঝোতা ভাল প্রভাব ফেলতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE