মোদী সরকারের হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে রাফাল যুদ্ধে এ বার হ্যালকে তির করলেন রাহুল গাঁধী। দেশের এই ‘প্রতিরক্ষা সম্পদ’টিকে ‘আক্রমণ ও ধ্বংস’ করার অভিযোগ আনলেন সরকারের বিরুদ্ধে। এখানে হ্যালের সদর দফতরের কাছে মিনস্ক স্কোয়ারে সংস্থাটির বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মীদের সঙ্গে আজ কথা বলেন রাহুল।
ফেসবুকে লাইভ থেকে তাঁদের বলেন, ‘‘রাফাল আপনাদের অধিকার।’’ ফ্রান্সের রাফাল যুদ্ধবিমান তৈরির প্রকল্পে হ্যালকে দেশীয় অংশীদার হতে না দেওয়ার জন্য মোদী সরকারের হয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি।
হ্যাল ১৯৪০-এ যাত্রা শুরু করেছিল হিন্দুস্থান এয়ারক্র্যাফট লিমিটেড হিসেবে। এখন যা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড। এই ৭৮ বছরে তারা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সুখোই যু্দ্ধবিমান থেকে শুরু করে মিগ-২৯, এয়ারবাস থেকে হেলিকপ্টারের যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ করেছে। এমন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বঞ্চিত করা নিয়ে আগে থেকেই সরব রয়েছেন রাহুল। আজ বোঝালেন, হ্যালের পাশে থেকে তাদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াইকে তুঙ্গে নিয়ে যেতে চান। হ্যালের গেটে দুপুরের জমায়েতে ডাক দিয়ে সকালেই রাহুল টুইট করেন, ‘‘হ্যাল দেশের প্রতিরক্ষা সম্পদ। অনিল অম্বানীকে উপহার দিতে হ্যালের কাছ থেকে রাফাল (বরাত) ছিনিয়ে দেশের বিমান শিল্পের ভবিষ্যৎ ধংস করা হয়েছে। ভারতের রক্ষকদের মর্যাদা রক্ষায় এগিয়ে আসুন।’’ দুপুরের জমায়েতে বলেন, ‘‘বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরি করা ও দেশকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এই সংস্থার কাছে দেশ ঋণী। কিন্তু মোদী সরকার দেশের আধুনিক মন্দিরগুলির উপরেই আঘাত হানছেন। ধ্বংস করছেন সেগুলিকে।’’ রাফাল বরাত থেকে হ্যালকে বঞ্চিত করাটা রাহুলের মতে ‘পুরোপুরি হাস্যকর’। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের জন্য যাঁরা জীবনপাত করেছেন, দেশের পাশে থেকেছেন, তাঁরাই এখন অপমানিত ও বিচলিত। জানি সরকার এ জন্য ক্ষমা চাইবে না। এর সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। তবু আমি তাদের হয়ে ক্ষমা চাইছি।’’
হ্যালের কর্মী সংগঠন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মীরা এসেছিলেন ব্যক্তিগত ভাবেই। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে খুশি রাহুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy