সুষমা স্বরাজ। —ফাইল চিত্র।
ডোকলাম নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়ালেন রাহুল গাঁধী। আজ ডোকলাম নিয়ে টুইটারে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কড়া সমালোচনা করেন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সুষমাজির মতো এক জন ভদ্রমহিলা যে কী ভাবে চিনা শক্তির কাছে মাথা নত করে মুখে বকলস আটকে রয়েছেন, তা দেখে অবাক হতে হয়! নেতার আত্মসমর্পণ করার অর্থ, সীমান্তে বীর জওয়ানদের ঠকানো।’’
রাহুলের এই মন্তব্যের পরে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। পাল্টা টুইট করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজেজু বলেছেন, ‘‘রাহুলজির এই টুইট থেকেই স্পষ্ট যে, তিনি জাতীয় স্বার্থের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন রাজনৈতিক কচকচানিকে। কংগ্রেসের প্রবীণ প্রাক্তন মন্ত্রীরা কেন তাঁকে স্পর্শকাতর পরিস্থিত নিয়ে কিছু উপদেশ দিচ্ছেন না?’’
ভারত-ভুটান-চিনের ত্রিদেশীয় সীমান্ত এলাকা এই ডোকলামে প্রায় দু’মাস মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল ভারত ও চিনের সেনা। অভিযোগ, সেই এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছিল চিনা সেনা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সম্প্রতি সেখানে আবার চিনা সেনা মোতায়েন হচ্ছে এবং পরিকাঠামো তৈরির কাজ হচ্ছে— মার্কিন সূত্রের এই রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার পরে বিতর্ক নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। রাহুলের সমালোচনার প্রেক্ষাপটও এই রিপোর্টটিই। গত কাল ডোকলাম নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ সুগত বসু। তিনি জানতে চান, শিলিগুড়ি করিডরের কাছে (ডোকলামে) যে পরিকাঠামো তৈরি করেছিল চিন, তা কি তারা গুটিয়ে নিচ্ছে? এর জবাব সরাসরি এড়িয়ে সুষমা বলেন, ‘পরিণত কূটনীতির’ মাধ্যমে ডোকলাম সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। আজ ক্ষুব্ধ সুগতবাবু বলেন, ‘‘সুষমা প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন! প্রধানমন্ত্রী উহানে ৯ ঘণ্টা আলোচনা করলেন চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। কিন্তু দেশে ফিরে আজ পর্যন্ত সংসদে কিছু জানালেন না যে, কী বিষয় নিয়ে কথা হল। আসলে এমন কোনও মঞ্চে তিনি কথা বলতে চান না, যেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হতে পারে।’’ সুগতর বক্তব্য, গত কাল তাঁর প্রশ্নের সময় প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত ছিলেন লোকসভায়। সুগত বলেন, ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও সরাসরি জানতে চায়, উহানের ঘরোয়া আলোচনায় কী হয়েছিল। উনি একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy