রাফাল-বিতর্ককে এ বার ভোটের ময়দানে নিয়ে আসছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।—ছবি পিটিআই।
সংসদে তোলা তাঁর প্রশ্নের জবাব গত কাল এড়িয়ে গিয়েছে সরকার। রাফাল-বিতর্ককে তাই এ বার ভোটের ময়দানে নিয়ে আসছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। এ দিন সংসদে সপ্তাহান্তে ছুটি থাকা সত্ত্বেও রাফাল নিয়ে তোপ দাগায় বিরতি না-দিয়ে সকালেই তাঁর টুইট, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী গত কাল সংসদে ২ ঘণ্টা বললেন। কিন্তু আমি মাত্র দু’টি যে সহজ প্রশ্ন করেছিলাম, তার উত্তর দিতে পারলেন না।’
এ দিনের টুইটে রাহুল গত কাল লোকসভা অধিবেশনের একটি ভিডিয়ো ক্লিপিং-ও জুড়ে দিয়েছেন, যেখানে প্রশ্নগুলি করেছেন তিনি। তার পর লিখেছেন ‘এই ভিডিয়োটি দেখুন এবং অন্যদের দেখান। প্রধানমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রীদের কাছে প্রতিটি ভারতবাসী এই প্রশ্ন দু’টি তুলুন।’ এই টুইটে একটি হ্যাশট্যাগ যোগ করেছেন রাহুল, যার নাম, ‘দো সওয়াল দো জবাব!’
হ্যাঁ বা না? রাফাল নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন ছুড়েছিলেন রাহুল। হ্যালের বদলে অনিল অম্বানীর সংস্থাকে রাফাল-বরাত দেওয়ার কে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং মোদীর দু’মিনিটে বদলে ফেলা নতুন চুক্তিটি নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা কোনও আপত্তি জানিয়েছিলেন কি না— সরাসরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন তিনি। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র অমেঠীর অনুষ্ঠান বাতিল করে গত কাল লোকসভায় ঠায় বসেছিলেন উত্তরের জন্য। কিন্তু দীর্ঘ এবং আবেগদীপ্ত বক্তৃতা দিলেও রাহুলের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন নির্মলা সীতারামন। কিন্তু আজ রাহুলের টুইট-বাণে স্পষ্ট, সংসদ অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও এই দু’টি প্রশ্নকে সামনে রেখেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার ক্রমশ উচ্চগ্রামে নিয়ে যাবেন তিনি।
আক্রমণে অন্য মাত্রা আনতে আজ ‘হ্যাল’-এর বেহাল অবস্থাও তুলে ধরেছে কংগ্রেস। সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি রিপোর্টকে সামনে এনে দলীয় মুখপাত্র রণবীর সিংহ সুরজেওয়ালা এ দিন বলেছেন, ‘‘মোদীজির জমানায় এ দেশে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সব চেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যাল-এর এমনই করুণ অবস্থা যে, কর্মীদের বেতন দেওয়ার অর্থটুকুও নেই। ৭০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম তারা ১ হাজার কোটি টাকা ধার করতে বাধ্য হয়েছে।’’
সম্প্রতি হ্যালের কর্তা আর মাধবন নিজেই জানিয়েছেন, তাঁদের হাতে টাকা নেই। সূত্রের খবর, এই দূরবস্থার কারণ হ্যালের প্রধান খদ্দের ভারতীয় বায়ুসেনা ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পর বকেয়া টাকা দেয়নি। বকেয়ার পরিমাণ প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy