দলীয় সংগঠন সাজিয়ে লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন রাহুল গাঁধী।
ভোটের প্রস্তুতি হিসেবে কংগ্রেস সভাপতি আজ কোর গ্রুপ, ইস্তাহার ও প্রচার কমিটি তৈরি করে দিলেন। লোকসভা ভোটের এত আগে কমিটি তৈরি করা দেখে কংগ্রেস নেতারা বলছেন, এখানেই পুরনো জমানার সঙ্গে রাহুল-জমানার ফারাক। এত দিন কংগ্রেসের কমিটি তৈরি বা প্রার্থী বাছাই— সবই হত শেষবেলায়।
সনিয়া গাঁধী বা মনমোহন সিংহ কমিটিগুলিতে নেই। আহমেদ পটেল, এ কে অ্যান্টনি, গুলাম নবি আজাদের মতো সনিয়ার আস্থাভাজনরা কোর গ্রুপে আছেন। মনমোহন-জমানায় দল ও সরকারের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য কোর গ্রুপ তৈরি হয়েছিল। এ বার কোর গ্রুপে পি চিদম্বরম, মল্লিকার্জুন খড়্গে, অশোক গহলৌত, জয়রাম রমেশের পাশাপাশি নতুন মুখ কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং কে সি বেণুগোপাল।
ইস্তাহার কমিটিতে চিদম্বরম, জয়রাম, সলমন খুরশিদের মতো পুরনো মুখের সঙ্গে মীনাক্ষি নটরাজন, সুস্মিতা দেবের মতো নতুন মুখ আনা হয়েছে। গত লোকসভা ভোটেই ইস্তাহার তৈরির সময় সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিদের মতামত নিয়েছিলেন রাহুল। ইস্তাহারের খসড়া চূড়ান্ত করতে নিয়োগ করা হয়েছিল পেশাদার সংস্থা ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের। এ বারও সেই ইঙ্গিত দিয়ে ইস্তাহার কমিটিতে স্যাম পিত্রোদা, শশী তারুর, অর্থনীতিবিদ বালচন্দ্র মুঙ্গেকরদের নিয়ে আসা হয়েছে।
গত লোকসভা ভোটে ইস্তাহার কমিটির চেয়ারম্যান হন অ্যান্টনি। এ বার অ্যান্টনিও কমিটিতে নেই। চেয়ারম্যান কে হবেন, তা আজ ঘোষণা হয়নি।
বিভিন্ন রাজ্য, বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি প্রচার কমিটিতেও নবীন-প্রবীণের মিশেল ঘটিয়েছেন রাহুল। সে কারণে আনন্দ শর্মা, রাজীব শুক্ল, প্রমোদ তিওয়ারির সঙ্গেই নাম রয়েছে মিলিন্দ দেওরা, সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের প্রধান দিব্যা স্পন্দনা, অ্যানালিটিক্স বিভাগের প্রধান প্রবীণ চক্রবর্তী, তরুণ মুখপাত্র জয়বীর শেরগিলদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy