Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
national news

উত্তর-পূর্বে নেতাদের দলত্যাগ রুখতে জোর রাহুলের

অসম জয়ের পরে বিজেপি ‘নর্থ ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’ বা নেডা গড়ে উত্তর-পূর্বে জয়ের ঘোড়া ছোটাচ্ছে। সাত বোনের মধ্যে মেঘালয় আর মিজোরামে এখনও টিকে রয়েছে কংগ্রেস।

নেতা-নেত্রীদের নিয়ে বৈঠক করছেন রাহুল গাঁধী। —নিজস্ব চিত্র।

নেতা-নেত্রীদের নিয়ে বৈঠক করছেন রাহুল গাঁধী। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ২০:৩১
Share: Save:

অসম জয়ের পরে বিজেপি ‘নর্থ ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’ বা নেডা গড়ে উত্তর-পূর্বে জয়ের ঘোড়া ছোটাচ্ছে। সাত বোনের মধ্যে মেঘালয় আর মিজোরামে এখনও টিকে রয়েছে কংগ্রেস। তাই নেডা-কে রুখতে প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া ‘উত্তর-পূর্ব কংগ্রেস কোঅর্ডিনেশন কমিটি’ বা এনইসিসিসি-কে ফের সক্রিয় করে তুলছেন জাতীয় কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। শুক্রবার দিল্লিতে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, বিধায়ক, বিরোধী দলনেতা ও অন্য নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। ছিলেন উত্তর-পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা সি পি জোশী, অরুণাচল ও মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকি ও ওক্রাম ইবোবি সিংহ। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এ দিনই মণিপুরের চার কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। তাঁদেরই পাশাপাশি মণিপুরের একমাত্র তৃণমূল বিধায়ক টি রবীন্দ্র সিংহ-ও বিজেপিতে গেলেন।

আরও পড়ুন: সুকমা নিয়ে ফেসবুকে রাজনাথকে তীব্র কটাক্ষ করলেন এক জওয়ান

এনইসিসিসি-র আহ্বায়ক মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাকে মঞ্চের সভাপতি করে এনইসিসিসি কাঠামো নতুন করে গড়ে তোলার নির্দেশ দেন রাহুল। সেই সঙ্গে, সব রাজ্যে কংগ্রেস কর্মীদের তিনি নির্দেশ দেন, জনসংযোগ বাড়িয়ে মানুষকে বিজেপির চটকদার নীতির পিছনে লুকিয়ে থাকা চক্রান্তগুলি বোঝাতে হবে। উত্তর-পূর্বে কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় আশঙ্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে নেতা-বিধায়কদের দলত্যাগ। যার সূত্রপাত হয়েছিল অসমে হিমন্তবিশ্ব শর্মা-সহ ১০ বিধায়ককে দিয়ে। সম্প্রতি তেমনই এক দলত্যাগী কংগ্রেসি এন বীরেনের হাতে মণিপুরের দেড় দশকের কংগ্রেস শাসনও তুলে দিতে হয়েছে। তাই বৈঠকে দলীয় সংহতি অটুট রাখার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়। অসম কংগ্রেসের সভাপতি রিপুন বরা জানান, বিজেপির নিজের কোনও ভিত্তি উত্তর-পূর্বে ছিল না। তারা যে ভাবে হোক কংগ্রেসের তাবড় নেতাদের ছিনিয়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। তাই কংগ্রেসের নেতাদের আদর্শে অটল হতে হবে। তৃণমূল স্তর থেকে গণভিত্তি বাড়ানোর পাশাপাশি দল অটুট রাখতেও কংগ্রেস সভাপতিদের বিশেষ ভূমিকা নিতে বলেছেন রাহুল। মুকুল সাংমা বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্বের মানুষের সঙ্গে কংগ্রেসের যোগ অনেক পুরনো। কিন্তু বিজেপি যড়যন্ত্র করে, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করছে। তা রুখতে হবে।’’ ২০১৮ সালের মেঘালয় নির্বাচনে মুকুলের হার হচ্ছেই বলে দাবি করেছেন নেডার আহ্বায়ক হিমন্তবিশ্ব শর্মা। মুকুল বলেন, ‘‘মেঘালয়ে কংগ্রেসের অবস্থান ও ক্ষমতা সম্পর্কে হিমন্তর ধারণা নেই। তিনি কী ভাবে ভোটে জেতেন তা ভাল করেই জানি। বিজেপির মেঘালয় দখল সম্ভব হবে না।’’ বৈঠক প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্বে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করা নিয়ে ফলপ্রসূ বৈঠক হল। সকলে হাত মিলিয়ে উত্তর-পূর্বে কংগ্রেসের গৌরব ফেরানোর রাস্তা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rahul Gandhi Congress North East
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE