কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। -ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী জোট আরও পোক্ত করতে একটি অভিন্ন কর্মসূচি তৈরি করতে চান রাহুল গাঁধী।
বিদেশের মাটিতে থাকলেও সদ্য গত কালই কংগ্রেসের ইস্তাহার ও প্রচার কমিটি তৈরি করে ফেলেছেন রাহুল। যেখানে ওজনদার নেতাদের রাখা হয়েছে। কংগ্রেসের শীর্ষ সূত্রের মতে, ইস্তাহার যে শুধু দিল্লি থেকে জাতীয় স্তরে তৈরি হবে, তা নয়। প্রতিটি রাজ্যে সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী পৃথক ইস্তাহার তৈরি করা হবে। রাহুল নিজেও অন্য বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। যাতে লোকসভায় নরেন্দ্র মোদীকে হারাতে সকলে মিলে একটি অভিন্ন কর্মসূচি তৈরি করা যায়।
জার্মানি ও ব্রিটেনের মাটিতে রাহুল বারবার বলেছেন, গত লোকসভায় মোদী মাত্র ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। বাকিদের ঝুলিতে গেছে ৭০ শতাংশ ভোট। বিরোধীরা এককাট্টা হলে সহজ অঙ্কেই মোদীকে হারানো যায়। শুধু উত্তরপ্রদেশ, বিহারে ঠিক মতো জোট হলেই ১২০টি আসনে বিজেপি প্রায় সাফ হয়ে যাবে। রাহুলের বক্তব্য, সব বিরোধী দল সম্মত হয়েছে। এখনই কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে না ধরে মোদীকে হারাতেই সকলকে একজোট হতে হবে। মোদী জমানায় যে ভাবে বিষ ও বিভাজন ছড়িয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কব্জা করা হচ্ছে, তা ঠেকাতেই হবে। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘ভোট যত এগিয়ে আসবে, একটি অভিন্ন কর্মসূচি করে বিরোধীদের এই জোটকে আরও পোক্ত করা হবে।’’
চন্দ্রবাবু নায়ডু, মেহবুবা মুফতি সঙ্গ ছাড়ার পরে আজ বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন আর এক শরিক উপেন্দ্র কুশওয়াহা। কংগ্রেসের নেতারা মনে করছেন, ভোট যত এগিয়ে আসবে, এনডিএ-সঙ্গ ছেড়ে আরও অনেক শরিকই এগিয়ে আসবে। তাঁদের যুক্তি, রাহুল গাঁধী একটি আদর্শগত লড়াই করছেন। যে দল সেই আদর্শের সঙ্গে খাপ খাবে, তারাই বিরোধী জোটে শামিল হতে পারবে।
এআইসিসি দফতরে কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। নির্বাচনী কেন্দ্র ধরে ধরে যেখানে যে দলের সঙ্গে সমঝোতা করা প্রয়োজন, তা করতে কংগ্রেস পিছপা হবে না। কংগ্রেস সেই মনোভাব নিয়েই এগোতে চাইছে। আর এটাই মোদীর কাছে সব থেকে বড় আতঙ্কের বিষয় হয়ে উঠছে।’’
যে কোনও মূল্যে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে কংগ্রেস এখন প্রতিটি কর্মসূচিকেই আলাদা ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। কংগ্রেসের এক নেতা জানান, আগামিকাল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিরোধী নেতৃত্বের যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, সেখানে শুধু আমাদের কথা বলব এমন নয়। সব বিরোধী দলের বক্তব্য ঐক্যবদ্ধ ভাবেই তুলে ধরা হবে। নির্বাচন কমিশনের দফতরেও সার্বিক বিরোধী ঐক্যের ছবিই দেখা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy