রাহুল গাঁধী।
দলিত সমাজের উপর নির্যাতন নিয়ে দেশভর রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে আজ মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। রাজস্থানে ভোটের প্রচার শুরু করার ফাঁকেই রাহুল আজ টুইট করেন, ‘‘বিজেপি দলিত ও আদিবাসীদের বিরুদ্ধে হিংসায় ইন্ধন জোগাচ্ছে— এ কথা বলেছিলাম বলে মিস্টার ৫৬-র পরম মিত্র আমাকে তথ্য যাচাই করতে বলেছেন। আশা করি যে তথ্য আজ আমি দিচ্ছি, তাতে ৫৬ ইঞ্চি মহোদয়ের গভীর ঘুম ভাঙবে। নয়তো আমাকে ও কংগ্রেসকেই সেটা করতে হবে।’’
রাহুলের দেওয়া লিঙ্কের প্রতিবেদনে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড বুরোর তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর অপরাধের ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। ভোটের মুখে দাঁড়ানো মধ্যপ্রদেশে দলিত নির্যাতনের ঘটনা ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা বেশ স্পষ্ট, মধ্যপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা ভোটে শিবরাজ সিংহ চৌহানের বিরুদ্ধে প্রচারে এই পরিসংখ্যান কাজে লাগাবে কংগ্রেস।
সংসদের সদ্যসমাপ্ত বাদল অধিবেশনে সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে বক্তৃতা দিতে উঠে রাহুল দলিত নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে মোদী, অমিত শাহদের বিরুদ্ধে মুখর হয়েছিলেন। বিরোধীদের অভিযোগ, দলিত আইন নিয়ে কেন্দ্র পিছু হটায় বিরোধী এবং রামবিলাস পাসোয়ানের মতো শরিক নেতারাও চেপে ধরেছিল বিজেপিকে। বিরোধীদের সম্মিলিত চাপেই লোকসভায় সংশোধনী আইন আনতে হয়েছে কেন্দ্রকে। সব মিলিয়ে গোটা দেশের দলিত বিক্ষোভ নিয়ে বেশ কিছুটা পিছনের পায়ে চলে যায় মোদী সরকারও।
বিষয়টি নিয়ে রাহুলের পাল্টা কোনও বক্তব্য এখনও পেশ করেননি বিজেপি নেতৃত্ব। তবে বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, যে নথি দেখিয়ে স্বর চড়াচ্ছে কংগ্রেস, সেখানে এটাও বলা হয়েছে যে বিহার এবং রাজস্থানে গত চার বছরে দলিত নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশ কমে আসছে।
এ দিন হরিয়ানায় ভোটে জিতলে সরকারি চাকরিতে অনগ্রসরদের ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাহুলের দল। রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা আজ হিসারে এই প্রতিশ্রুতি দেন। এটা বেশ স্পষ্ট, ২০১৯-এ লোকসভা ও তার আগে সব বিধানসভার ভোটে দলিতদের পাশে থাকার বার্তাকেই কংগ্রেস বড় ভাবে তুলে ধরতে তৎপর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy