মন্দসৌরের কৃষক মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজনীতি। তখন ছুটি কাটাতে বিদেশে চলে গিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। এ বার পটনায় লালুপ্রসাদের বিরোধী-জোট সভার ঠিক মুখেই ফের বিদেশে চললেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি।
আজ সকালে রাহুল নিজেই টুইট করে জানান, নরওয়ের বিদেশ মন্ত্রকের আমন্ত্রণে তিনি কিছু দিনের জন্য অসলো যাচ্ছেন। সেখানে রাজনৈতিক নেতা, শিল্পপতি ও গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে মতের আদান প্রদান করবেন। রাহুল না থাকায় লালুর ২৭ অগস্টের ‘বিজেপি ভাগাও, দেশ বাঁচাও’ সভা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেল। কারণ, সনিয়া গাঁধীও যাচ্ছেন না। মায়াবতীও না যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। আবার লালুর সভায় হাজির থাকবেন না সীতারাম ইয়েচুরিও।
কংগ্রেস জানাচ্ছে, সনিয়া-রাহুল না গেলেও গুলাম নবি আজাদের মতো শীর্ষ নেতা উপস্থিত থাকবেন। আর রাহুলের নরওয়ে সফর অনেক আগে থেকেই স্থির ছিল। কিন্তু কংগ্রেস মুখে এ কথা বললেও দলের মধ্যেই তাঁর সফর ঘিরে অস্বস্তি রয়েছে। বিরোধী দলের এক নেতার কথায়, নরওয়ে যদি আগে থেকে ঠিক থাকে, লালুর সম্মেলন তো তারও আগে নির্ধারিত। তার মানে, বিরোধীদের একজোট করে নরেন্দ্র মোদীকে সামনের লোকসভায় বেগ দেওয়ার যে চেষ্টা হচ্ছে, সে ব্যাপারে আন্তরিক নন রাহুল?
কংগ্রেসের বক্তব্য, ক’দিন আগেই দিল্লিতে শরদ যাদবের বিরোধী মঞ্চে রাহুল গিয়েছিলেন। বিরোধী জোটের বিষয়ে সনিয়া গাঁধীও সক্রিয়। লালুও নিয়মিত সনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। শারীরিক কারণে সনিয়ার পক্ষে এখন যাওয়া সম্ভবও নয়। এটা ঠিক, সনিয়ার সঙ্গে লালু যতটা স্বচ্ছন্দ্য, অতটা রাহুলের সঙ্গে নন। একসময় লালুর দুর্নীতিকে সামনে রেখেই মনমোহন সিংহ সরকারের অধ্যাদেশ ছিঁড়ে ফেলেছিলেন রাহুল। এখন সেই দুর্নীতির অভিযোগেই বিদ্ধ লালু। হতে পারে সে কারণেই পটনার সভাকে অগ্রাধিকার না দিয়ে নরওয়ে যাওয়াকেই গুরুত্ব দিয়েছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। কংগ্রেসের মতে, এর সঙ্গে বিরোধী জোটের প্রয়াসকে খাটো করার কোনও অভিপ্রায় নেই রাহুলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy