রাহুল গাঁধী, ইনসে্টে রাজীব গাঁধী।ফাইল চিত্র
ঠাকুমার মতো বাবারও যে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে, সেই আন্দাজটা ছিল। এবং কথায় কথায় রাজীব গাঁধীকে সে কথা বলেওছিলেন ছেলে রাহুল। রাজীব হত্যার পর কেটে গেছে ২৭ বছর। রবিবার সিঙ্গাপুরে আইআইএম প্রাক্তনীদের এক অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত জীবনের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতির প্রসঙ্গ উঠতেই রাহুল বলেন, ‘‘বাবাকে আগেই বলেছিলাম, তোমাকে মরতে হবে।’’
১৯৯১ সালের ২১ মে। চেন্নাইয়ের কাছে নির্বাচনী জনসভায় এলটিটিই-র মহিলা জঙ্গির ঘটানো আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় রাজীব গাঁধীর দেহ। রাহুলের বয়স তখন ২১। প্রিয়ঙ্কার ১৯। সিঙ্গাপুরে সে স্মৃতি উস্কে উঠতেই রাহুল যেন ভারাক্রান্ত। বললেন, ‘‘বছরের পর বছর ধরে আমি আর প্রিয়ঙ্কা ক্ষত-বিক্ষত হয়েছি। মর্মান্তিক সে ঘটনা আমাদের সহ্য করতে হয়েছিল। কিন্তু হত্যাকারীদের আমরা ক্ষমা করে দিয়েছি।’’
পরিবারে একের পর এক মৃত্যু। প্রথমে ঠাকুমা, তারপর বাবা। রাহুল বলেন, দু-দুবার দুই প্রিয়জনের রক্তাক্ত দেহের সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে একটা মোক্ষম উপলব্ধি তাঁর হয়েছিল। কী সেই উপলব্ধি? রাহুলের কথায়, ‘‘সারাদিন ধরে যদি ১৫ জন নিরাপত্তারক্ষীও ঘিরে থাকে, তবেও নিজেকে সুরক্ষিত ভাবার কারণ নেই।’’
রাজীবের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা
রাহুল বলেন, যারা ইন্দিরা গাঁধীকে হত্যা করেছিল, তাদের সঙ্গে তিনি ব্যডমিন্টন খেলতেন। রাহুলের কথায়, ‘‘ঠাকুমা আমাকে বলেছিলেন যে তাঁকে মরতে হবে। বাবাকে আমি বলেছিলাম যে তাঁকেও মরতে হবে। আবার এলটিটিই সুপ্রিমো প্রভাকরণের মৃতদেহ যখন দেখি, সে সময়ও মনে হয়েছিল তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। ওঁর সন্তানদের জন্য খারাপ লেগেছিল।’’
আরও পড়ুন: নোটবন্দির ফাইল ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিতেন রাহুল
তবে কি বাবা, ঠাকুমার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজে সতর্ক থাকেন রাহুল? সরাসরি কিছু না বললেও কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, রাজনীতিতে প্রায়ই অদৃশ্য শক্তির মুখোমুখি হতে হয়। কখন যে আঘাত আসবে, তা বোঝাই যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy