রবীন্দ্র মেলার বৈঠকে রাহুল রায় ও আনোয়ার হুসেন লস্করের বচসা সামলাচ্ছেন গৌতম রায়। বুধবার হাইলাকান্দিতে। — অমিত দাস
রবীন্দ্র মেলার বৈঠক ঘিরে ফের উত্তেজনা ছড়াল হাইলাকান্দিতে। তা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল। হাতাহাতি শুরু হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হল প্রাক্তন বিধায়ক রাহুল রায় এবং বিধায়ক আনোয়ার হুসেন লস্করের মধ্যে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রবীন্দ্র ভবন। আসে পুলিশ।
হাইলাকান্দিতে রবীন্দ্র মেলার আয়োজন নিয়ে জটিলতা কাটাতে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। মেলা কমিটির সভাপতি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন হাইলাকান্দির বিধায়ক আনোয়ার হুসেন লস্কর, প্রাক্তন বিধায়ক ও মেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি রাহুল রায়-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি।
আলোচনা শুরু হলে সভায় হাজির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা গৌতমবাবুর নেতৃত্বে মেলা আয়োজনের কথা জানান। গৌতমবাবু তাতে সম্মত হন। পাঁচ জন সদস্যের তদারকিতে মেলা পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন। আগামী বছরের মার্চ মাসের আগে মেলা কমিটির সভা ডেকে নতুন কমিটি গঠনের কথাও ঘোষণা করেন।
বৈঠকের শেষ পর্যায়ে মেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি রাহুলবাবু প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘এ ভাবে বর্তমান মেলা কমিটির ক্ষমতা খর্ব করা অন্যায়। এই কমিটির অধীনেই মেলা পরিচালনা করতে হবে।’’ রাহুলবাবুর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান অগপ নেতা কমরুল ইসলাম বড়ভুঁইঞা এবং বিধায়ক আনোয়ার হুসেন লস্কর। রাহুলবাবু এবং আনোয়ার লস্করের মধ্যে বচসা শুরু হয়। দু’জনের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হয়। গৌতমবাবু তাঁদের সরিয়ে দেন। পরে বিধায়ক আনোয়ার হুসেন, জেলা অগপ সভাপতি জ্বলন্ত সেনগুপ্ত এবং সম্পাদক কমরুল ইসলাম বড়ভুঁইঞা সাংবাদিকদের সামনে রাহুলবাবুর বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করেন। পাল্টা তোপ দাগেন রাহুলবাবুও।
মেলা কমিটির সভাপতি গৌতমবাবু জানিয়ে দেন, মেলা যথা সময়ে আয়োজিত হবে। কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে মেলা আয়োজনের বিষয়ে কথাবার্তা বলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy