প্রতীকী ছবি।
আয় বাড়াতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে কাটা ট্রেন টিকিটের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল মন্ত্রক। গোটা প্রক্রিয়াটির গালভরা নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ফ্লেক্সি ফেয়ার সিস্টেম’। কিন্তু এক বছর পরে দেখা যাচ্ছে তাতে যত না আয় বেড়েছে, তুলনায় যাত্রী কমেছে কয়েক গুণ। খালি যাচ্ছে রাজধানী, শতাব্দীর মতো প্রিমিয়ার ট্রেনও। ফলে এক বছরের মাথায় ওই নীতি খতিয়ে দেখতে ছ’সদস্যের কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিল রেল। এমনকী বিমান ও হোটেলের মতো শেষ মুহূর্তে কাটা টিকিটে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা দেখতে বলা হয়েছে ওই কমিটিকে। লক্ষ্য একটাই, ট্রেনের খালি কামরা যদি আবার ভরা যায়।
যাত্রী ভাড়ায় এখনও বছরে ৩০-৩২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় রেল। সেই ক্ষতির কিছুটা কমাতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই ফ্লেক্সি পদ্ধতি চালু করে রেল। এই পদ্ধতিতে রাজধানী, শতাব্দীর মতো দামি ট্রেনে মোট আসনের দশ শতাংশ টিকিট বিক্রি হতেই, বাকি আসনের ভাড়া দশ শতাংশ হারে বাড়তে থাকে। এ ভাবে কোনও ট্রেনের ভাড়া মূল ভাড়ার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন নিয়মে শিয়ালদহ-রাজধানীর বাতানুকূল দ্বিতীয় শ্রেণির যে ভাড়া ২৮০০ টাকার কাছাকাছি হওয়া উচিত ছিল, তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াচ্ছিল ৪০০০ থেকে ৪২০০-টাকার কাছাকাছি। রেলের এক কর্তার ব্যাখ্যা, ‘‘ওই টাকায় বা এর চেয়ে কম টাকায় সমদূরত্বে বিমানের টিকিট মেলে। এর ফলে সব চেয়ে বেশি ধাক্কাটা এসে পড়ে বাতানুকূল টু-টিয়ারে। গত ছ’মাসে প্রায় ১০-১৫ শতাংশ আসন খালি গিয়েছে এই শ্রেণিতে। ধীরে ধীরে বাতানুকূল থ্রি-টিয়ারেও কমতে থাকে যাত্রী সংখ্যা।’’
এক দিকে যাত্রী সংখ্যা কমা, অন্য দিকে অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে রেল মন্ত্রক ও প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের কাছে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়তে থাকে। এই পরিস্থিতিতে ওই ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ছয় সদস্যের কমিটি গড়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। একই সঙ্গে যাত্রী টানতে বিশেষ ছাড়ের কথাও ভাবছে রেল। সূত্রের খবর, বিমান বা হোটেলে যেমন উৎসবের মরসুমে বা শেষ মুহূর্তের যাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা থাকে, সে ভাবে কোনও সুবিধা দেওয়ার কথা বিবেচনা করে দেখতে বলা হয়েছে ওই কমিটিকে। নতুন বছরের শুরুতেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ওই কমিটির। যাতে বাজেটে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy