Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

স্টেশনে ব্যবসা চলবে? জনমত যাচাইয়ে রেল

ইন্ডিয়ান রেলওয়ে স্টেশন ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (আইআরএসডিসি) নামে একটি বিশেষ সংস্থা গড়ে দেশের কমবেশি ৭৫০ স্টেশনের উন্নয়ন পরিকল্পনার রূপরেখা চূড়ান্ত করার ভার তাদের হাতে ছে়ড়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ফিরোজ ইসলাম
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৮ ০৩:২৫
Share: Save:

কী ভাবছেন আপনি হাওড়া বা শিয়ালদহের মতো বড় মাপের স্টেশনের উন্নয়ন নিয়ে? কিছু কি ভাবছেন? বারুইপুর বা প্রিন্সেপ ঘাটের মতো স্টেশনের উন্নয়নে কোনও পরামর্শ আছে কি আপনার?

থাকলে রেল তা শুনতে পারে। শুধু হাওড়া-শিয়ালদহ-বারুইপুর-প্রিন্সেপ ঘাট নয়, সারা দেশে সাড়ে সাতশোরও বেশি স্টেশনের উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরিতে সর্বসাধারণের মতামত নিতে চলেছে রেল। সেই তালিকায় রাজ্যের কমবেশি ১০০ স্টেশন রয়েছে। রেলের মূল উদ্দেশ্য, এই কাজের সূত্রে স্টেশনগুলির বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব মহলে আগ্রহ তৈরি করা এবং বাজারের সম্ভাব্যতা যাচাই করা।

সেই জন্য ইন্ডিয়ান রেলওয়ে স্টেশন ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (আইআরএসডিসি) নামে একটি বিশেষ সংস্থা গড়ে দেশের কমবেশি ৭৫০ স্টেশনের উন্নয়ন পরিকল্পনার রূপরেখা চূড়ান্ত করার ভার তাদের হাতে ছে়ড়ে দেওয়া হয়েছে। রেল দফতর সূত্রের খবর, স্টেশনগুলির উদ্বৃত্ত জমিতে উন্নয়নমূলক কাজকর্মের পাশাপাশি সেখানে কী ভাবে বিকল্প আয়ের রাস্তা তৈরি করা যায়, তার উপায় খোঁজাই রেলের উদ্দেশ্য।

রেলকর্তাদের একাংশের দাবি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির ভিত্তিতে উন্নয়নের পরিকল্পনার কথা ভাবা হলেও তাড়াহুড়ো করে ওই কাজের দায়িত্ব নির্দিষ্ট কয়েকটি সংস্থার হাতে ছেড়ে দিতে চায় না রেল। সেই জন্যই জনমত নেওয়ার ব্যবস্থা।

কিন্তু জনতা কারা? স্টেশনগুলির ভোলবদলের স্বার্থে যাত্রী, প্রযুক্তিবিদ, স্থাপত্যবিদ, নগর পরিকল্পক— সকলের স্বতঃস্ফূর্ত মত জানতে চায় রেল। পরিবর্তে পরিকল্পনার আওতায় থাকা স্টেশনগুলির অবস্থান, তাদের জমির পরিমাণ, ওই সব স্টেশন দিয়ে রোজ কত যাত্রী চলাচল করেন, কী ধরনের পণ্য পরিবহণ হয়, সংশ্লিষ্ট এলাকায় কী কী সুবিধা রয়েছে— সবই জানানো হবে সকলকে।

এর আগে সরাসরি বড় মাপের স্টেশনগুলিকে ৪৫ বছরের লিজে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন রেল-কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই প্রকল্পে বিশেষ সাড়া মেলেনি। ফলে নতুন পরিকল্পনায় এক ধাপ এগিয়ে বড় স্টেশনের পাশাপাশি মাঝারি এবং ছোট মাপের স্টেশনগুলিরও বাণিজ্যিক সম্ভাবনার বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরতে এবং তাঁদের মতামত জানতে চাইছে রেল।

আইআরএসডিসি-র এক কর্তা বলেন, “স্টেশনগুলির উন্নয়নে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত নিতে গিয়ে সম্ভাব্য সকলের মধ্যে এর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে আগ্রহ তৈরি করতে চাই আমরা। কোথায় কী ভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়তে পারে, স্থানীয় মানুষজনই তা ভাল বলতে পারেন।”

স্টেশন উন্নয়নের পরে তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেসরকারি বিমানবন্দরের ধাঁচে যাত্রীদের কাছ থেকে ‘ইউজার-ফি’ আদায়ের সম্ভাবনা অবশ্য বাতিল করে দিয়েছেন ওই কর্তা। জানিয়েছেন, জমির একাংশ বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহৃত হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Railways development plans Station Public Opinion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE