বছরখানেক আগেই অ্যালুমিনিয়ামের কোচ ব্যবহার শুরু করেছে দিল্লির মেট্রো রেল। বিমানের ধাঁচে এ বার সাধারণ ট্রেনের কোচ তৈরিতেও ব্যবহৃত হবে অ্যালুমিনিয়াম।
এত দিন ভারতে স্টেনলেস স্টিলের এলএইচবি (লিঙ্ক হফম্যান বুশ) কোচই ছিল আধুনিকতম। এ বার এক ধাপ এগিয়ে পুরোদস্তুর অ্যালুমিনিয়ামের কোচ তৈরি হবে এ দেশেই। রেলের খবর, রায়বরেলীর মডার্ন কোচ ফ্যাক্টরি (এমসিএফ)-কে খুব তাড়াতাড়ি ওই কোচ তৈরির অনুমতি দিতে পারে রেল বোর্ড।
রেলের এক কর্তা জানান, পুরনো লোহার কোচের তুলনায় এলএইচবি কোচ অনেক হাল্কা। আরও হাল্কা হবে অ্যালুমিনিয়ামের কোচ। তাপ ও মরচে নিরোধক বলে সেই সব কোচের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ হবে তুলনায় অনেকটাই কম। সেই সঙ্গে ওজনে হাল্কা হওয়ায় সহজে গতি বাড়ানো যাবে অ্যালুমিনিয়াম ট্রেনের। সর্বোপরি সাশ্রয় হবে জ্বালানিতেও।
কিন্তু যাত্রী-সুরক্ষার কী হবে?
রেলের ওই আধিকারিক জানান, বিদেশে ‘হাইস্পিড’ ট্রেনের কোচ তৈরিতে প্রধানত অ্যালুমিনিয়ামই ব্যবহৃত হয়। ভারতের প্রথম ‘সেমি-হাইস্পিড’ ট্রেন ‘টি-১৮’ এর কোচও আন্তর্জাতিক মানের অ্যালুমিনিয়াম দিয়েই তৈরি করা হয়েছে। ফলে যাত্রী-সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা নেই।
দিল্লি মেট্রো অ্যালুমিনিয়ামের যে-কোচ ব্যবহার শুরু করেছিল, সেগুলি আমদানি করা হয়েছিল বিদেশ থেকে। সেই কোচ ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় উৎসাহিত হয়েই দেশের মাটিতে অ্যালুমিনিয়ামের কোচ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর। কিন্তু ওই কোচ তৈরির প্রযুক্তি এ দেশে নেই। তাই জাপান বা ইউরোপের কোনও দেশ থেকে ওই প্রযুক্তি আমদানি করতে হবে। এই খাতে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির জন্য। রেল বোর্ড প্রথম পর্বে ৫০০টি কোচ তৈরি করতে চাইলেও মডার্ন কোচ ফ্যাক্টরির তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক পর্বে তারা বছরে ২৫০টি কোচ তৈরি করতে পারবে। পরে ওই সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্র্যাল কোচ ফ্যাক্টরিও এই ধরনের কোচ তৈরির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বছর দুয়েকের মধ্যে ওই কারখানাতেও অ্যালুমিনিয়ামের কোচ তৈরির কাজ শুরু হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy