দিল্লিতে অব্যাহত দূষণ। ছবি: এপি
রাজধানীতে রাতভর হাল্কা বৃষ্টি হল। কিন্তু দূষণের মাত্রা বিশেষ কমল না। আজও দিল্লির বায়ুর গুণগত সূচক রইল ২৯০-এর কাছাকাছি, যা মানবদেহের জন্য যথেষ্ট খারাপ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে গত দু’দিন জোরে বাতাস বইছিল গোটা উত্তর ভারত জুড়ে। গতকাল রাত থেকে শুরু হয় হাল্কা বৃষ্টি। দিল্লি ছাড়াও পঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়। বরফ পড়ে শ্রীনগর, হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের কিছু এলাকায়। মৌসম ভবনের মতে, দিল্লিতে জোরে বৃষ্টি হলে দূষণের হাত থেকে কিছুটা রেহাই মিলত। তখন বাতাসে ভাসমান ক্ষতিকর দূষিত কণা মাটিতে নেমে আসত। কিন্তু হাল্কা বৃষ্টির ফলে আখেরে কোনও লাভ হয়নি।
দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে আজও বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। বৈঠকে বাতাসে ক্ষতিকর ভাসমান কণার পরিমাণ কমাতে গত বারের মতো সপ্তাহান্তে দমকলের গাড়ি থেকে জল ছিটনোর কথা ভাবা হয়েছে। কিন্তু দূষণের মূল যে কারণ, অর্থাৎ ফসলের গোড়া পোড়ানো, তা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে। গতকালই সুপ্রিম কোর্ট ফসলের গোড়া পোড়ানো রুখতে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে হরিয়ানা ও পঞ্জাবের মুখ্যসচিবকে। তা সত্ত্বেও শুধু গতকালই ফসলের গোড়া পোড়ানোর ৪,৭৪১টি অভিযোগ জমা পড়েছে গোটা পঞ্জাবে। ১৭৪ জন কৃষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৮৪ জন কৃষককে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট ও জাতীয় পরিবেশ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, এ ভাবে কৃষকদের গ্রেফতার করা যাবে না। তাদের ক্ষেত থেকে ফসলের গোড়া ফেলার জন্য যন্ত্রের ব্যবস্থা করে দিতে হবে রাজ্যকে। আদালতে জমা দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে পঞ্জাব ও হরিয়ানায় প্রায় ৪৮ হাজার ফসলের গোড়া পোড়ানোর ঘটনা সামনে এসেছে। যা গত বারের চেয়ে প্রায় ১৮ হাজার বেশি। পরিবেশবিদদের মতে, এটা বন্ধ না হলে দিল্লিবাসীর রেহাই নেই।
দিল্লির বিজেপি সাংসদ বিজয় গোয়েলের অভিযোগ, পঞ্জাবের আম আদমি পার্টির বিধায়কেরা ফসলের গোড়া পোড়ানোয় চাষিদের উৎসাহ দিচ্ছেন। ফলে দূষণ বাড়ছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে আজ তিনি একটি সাইকেলে ফসলের গোড়া নিয়ে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy