Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

শম্ভুলালকে কি কেউ উস্কেছিল, তদন্ত পুলিশের

আফরাজুল খানের হত্যাকাণ্ডে কোনও গোষ্ঠীর জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজস্থান পুলিশ। তাদের মতে, কেউ শম্ভুলাল রেগরের ‘মগজধোলাই’ করে থাকতে পারে।

শম্ভুলাল রেগর

শম্ভুলাল রেগর

সংবাদ সংস্থা
জয়পুর ও রাজসমন্দ শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০৩
Share: Save:

আফরাজুল খানের হত্যাকাণ্ডে কোনও গোষ্ঠীর জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজস্থান পুলিশ। তাদের মতে, কেউ শম্ভুলাল রেগরের ‘মগজধোলাই’ করে থাকতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা আফরাজুল খানকে হত্যার মামলায় আপাতত শম্ভুলাল রেগরকে গতকালই তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তাকে জেরা করে গোটা ঘটনা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। উদয়পুর রেঞ্জের আইজি আনন্দ শ্রীবাস্তব আজ জানান, যে ভাবে আফরাজুলকে খুন করে ভিডিও তোলা হয়েছে তার জন্য অনেক দিন ধরে ছক কষা প্রয়োজন। তাই কোনও গোষ্ঠী শম্ভুলালের ‘মগজধোলাই’ করেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখতে হবে। শম্ভুলালের মোবাইলটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো বার্তায় শম্ভুলাল জানিয়েছিল, সে এমন কাজ করবে যে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যাবে। তাকে এই কাজ করার জন্য টাকা বা অন্য কিছুর লোভ দেখানো হয়েছিল কি না তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। আজ আফরাজুলের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজস্থান সরকার।

রাজসমন্দের রেগর কলোনিতে শম্ভুলাল অবশ্য রাতারাতি ‘বিখ্যাত’ হয়ে গিয়েছে। তার বাড়ির ঠিকানা জানতে চাইলে বাঁকা হেসে তাকাচ্ছেন এলাকার মানুষ। তবে সে কেমন লোক ছিল তা নিয়ে এলাকার কেউ মন্তব্য করতে রাজি নয়। সরু গলির মধ্যে বাড়ি শম্ভুলালের। তিন ভাইয়ের মধ্যে শম্ভুলালই বড়। তার ভাই লোকেশ জানাচ্ছেন, দাদা এমন কাজ করতে পারে তা তাঁরা ভাবতেই পারেন না। তবে এক বার পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এক মা-মেয়ের ডাকে সেই রাজ্যে গিয়েছিল শম্ভুলাল। সেই মেয়েটিকে নাকি ‘বোন’ ভাবত সে। লোকেশের দাবি, শম্ভুলাল ওই মেয়েটিকে ‘লাভ জেহাদি’দের হাত থেকে বাঁচাতে চেয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সেই মা-মেয়েও শম্ভুলালকে উস্কে থাকতে পারে বলে মনে করেন লোকেশ। অথবা পশ্চিমবঙ্গে যা দেখেছিল তা থেকেই শম্ভুলালের মনে ঘৃণা তৈরি হয়ে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন: বাড়িতে শৌচালয় নেই! মাইনে বন্ধ

কিন্তু নিহত আফরাজুল খানের সঙ্গে যে পশ্চিমবঙ্গের সেই মা-মেয়ের কোনও যোগ নেই তা মানছেন শম্ভুলালের পরিবারের সদস্যেরাও। লোকেশের কথায়, ‘‘দাদা বেশ কিছু দিন ধরেই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছিল। কাজকর্মও ছিল না। কয়েক বার বলেছিল কাজ জুটিয়ে দে। আমি নেশা ছেড়ে দেব।’’

শম্ভুলালের স্ত্রী-র অবশ্য দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। লোকেশ জানিয়েছেন, তিনি বেশ কয়েক বার অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন। কারও সঙ্গে কথা বলার অবস্থায় নেই। পরিবারের সদস্যদের দাবি, দিল্লি যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল শম্ভুলাল। তাঁদের আক্ষেপ, ‘‘তাঁর মনে কী ছিল জানলে বাড়ি থেকে বেরোতেই দিতাম না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE