Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
National news

এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দলিত নেতা রামনাথ কোবিন্দ

রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বিহারের বর্তমান রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দ এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হচ্ছেন।

রামনাথ কোবিন্দ। —ফাইল চিত্র।

রামনাথ কোবিন্দ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭ ১৪:১০
Share: Save:

রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই নানা টানাপড়েন চলছে। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে একাধিক বার আলোচনা করেছে বিজেপি। কিন্তু কখনওই বিজেপির মুখে তাঁর নাম শোনা যায়নি। রাজনীতিতে অনেক বছর ধরে থাকলেও, সক্রিয় রাজনীতিক হিসেবে প্রচারের আলোয় বড় একটা থাকেননি তিনি। বর্তমানে বিহারের রাজ্যপাল সেই রামনাথ কোবিন্দ-ই আজ প্রচারের কেন্দ্রস্থলে। সোমবার বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে বিজেপির এই দলিত নেতার নাম ঘোষণা করলেন। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদী নাকি নীতীশ কুমারের সঙ্গে কথা বলেছেন। রামনাথকে সমর্থন করবেন বলেও জানিয়েছেন নীতীশ।

আরও পড়ুন: বিদায়লগ্নেও ধর্ষকদের প্রতি ক্ষমাহীন প্রণব

রামনাথ কোবিন্দ কে?

বিহারের বর্তমান রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দের জন্ম ১৯৪৫-এর ১ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের কানপুরের প্রত্যন্ত এলাকায়। কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি আইনে স্নাতক হন। তার পর ১৯৭১ সালে বার কাউন্সিল অফ দিল্লির আইনজীবী হন। তার ৬ বছর পর, অর্থাৎ ১৯৭৭ সাল থেকে তিনি দিল্লি হাইকোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন। ১৯৭৮ থেকে তিনি সুপ্রিম কোর্টেও প্র্যাকটিস শুরু করেন। ১৯৮০ থেকে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সুপ্রিম কোর্টের স্ট্যান্ডিং কাউন্সেলের প্যানেলভুক্ত আইনজীবী হন। লখনউয়ে বি আর অম্বেডকর বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের বোর্ড মেম্বারও ছিলেন তিনি। ১৯৭৪-এর ৩০ মে সবিতা কোবিন্দকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই সন্তান।


ইফতার পার্টিতে রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দকে সংবর্ধনা জানাচ্ছেন নীতীশ কুমার। শনিবার পটনায়। ছবি: পিটিআই।

বিজেপির এই দলিত নেতা ১৯৯৪ সালের এপ্রিলে রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ হন। টানা ১২ বছর, অর্থাৎ ২০০৬ পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তিনি স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটি, তফসিলি জাতি-উপজাতি বিষয়ক সংসদীয় কমিটি, পেট্রোলিয়াম বিষয়ক সংসদীয় কমিটির এবং আইন ও বিচারমন্ত্রকের সংসদীয় কমিটিতেও ছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০২ পর্যন্ত তিনি বিজেপি-র তফসিলি মোর্চার সভাপতি ছিলেন।

২০১৫-র ৮ অগস্ট তাঁকে বিহারের রাজ্যপাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখন নীতীশ কুমার অভিযোগ করেন, তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করেই তাঁকে রাজ্যপাল করা হয়। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উচ্চারণে ভুল থাকায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালু্প্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপকে তিনি দু’বার শপথবাক্য পাঠ করান। তা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়। কোবিন্দের উপরে লালুপ্রসাদ ক্ষোভ উগরে দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE