উপেন্দ্র কুশওয়াহার পথেই কি হাঁটতে চলেছেন রামবিলাস পাসোয়ান! রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য তথা রামবিলাসের ভাই পশুপতি পারস সেই জল্পনায় ঘি ঢেলে বলেছেন, ‘‘এনডিএতে আসন বণ্টন নিয়ে এখনই কথা শুরু করা উচিত। জোটে এখন সূর্যের আলো। কিন্তু কুয়াশা ঘনাতে বেশি সময় লাগবে না।’’
কাল রামবিলাসের ছেলে তথা জামুইয়ের সাংসদ চিরাগ পাসোয়ান টুইট করেন, এনডিএতে সব ঠিক নেই। তেলুগু দেশম এবং আরএলএসপি ছেড়ে যাওয়ায় এনডিএ-র ক্ষতি হয়েছে। আজ পশুপতির বক্তব্যের পরে রামবিলাস এনডিএ ছেড়ে মহাজোটের দিকে পা বাড়াচ্ছেন, নাকি দর কষাকষির জমি তৈরি করছেন, প্রশ্ন তা নিয়েই। নীতীশ কুমারের দলের সঙ্গে বিজেপি সমসংখ্যক আসনে লড়াইয়ের ঘোষণার পর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছিলেন উপেন্দ্র কুশওয়াহা এবং রামবিলাস। যদিও পরে রামবিলাস জানান, জোটে সব কিছু ঠিক রয়েছে। কিন্তু তারপরেই এনডিএ ছাড়েন কুশওয়াহা। আগামী কাল দিল্লিতে বিহারে সম্ভাব্য আসন সমঝোতা নিয়ে আরজেডি-র সঙ্গে বৈঠক করবেন রাহুল গাঁধী। সেখানে উপেন্দ্র থাকেন কি না, সেটাই দেখার।
তিন রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবির পরে উল্টো গাইতে শুরু করেছেন রামবিলাস। বিজেপি বিপাকে পড়তেই বিহারে আসন সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করেছেন চিরাগ। গত বারে বিহারে সাতটি আসনে লড়ে ছ’টি আসনে জিতেছিল তারা। এ বারে তাদের দাবি আটটি আসন। এ ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডে একটি করে আসন দেওয়ার দাবি জানান পশুপতি পারস। রাজনৈতিক মহলের মতে, রামবিলাস ভোটের হাওয়া বোঝেন। রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে হাওয়া বদলাচ্ছে বুঝেই তিনি চাপ বাড়াচ্ছেন। যদিও লোক জনশক্তি পার্টির আসন বাড়ানোতে আপত্তি রয়েছে বিজেপি ও জেডিইউ নেতৃত্বের। তবে এখনই জোট থেকে রামবিলাসকে সরিয়ে দিতে রাজি নন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy