দল ভাঙিয়ে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা বিধায়ক রামদয়াল উইকে-কে দলে টেনে নিল বিজেপি। ছবি: সংগৃহীত।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে দ্রুত বদলাচ্ছে ছত্তীসগঢ়ের সমীকরণ।
এক দিকে বিজেপি-বিরোধিতায় আজ রমন সিংহের রাজ্যে জনসভা করে ভোট প্রচারে নামেন মায়াবতী। মায়াবতীর লক্ষ্য রামমন্দির প্রশ্নে আক্রমণ শানিয়ে দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির বিজেপি-বিরোধী ভোটকে বিএসপির ছাতার তলায় নিয়ে আসা। কিন্তু বিরোধী ভোট ভাগ হলে তাতে আখেরে বিজেপির লাভ বলেই মনে করছে কংগ্রেস। অন্য দিকে আজ দল ভাঙিয়ে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা বিধায়ক রামদয়াল উইকে-কে দলে টেনে নেয় বিজেপি। সব মিলিয়ে ভোটের আগে ছত্তীসগঢ়ে অস্বস্তিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
একাধিক সমীক্ষা জানিয়েছে, আসন্ন বিধানসভায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। বিরোধী ভোট এক হলে ১৫ বছর পরে ক্ষমতা হারাতে পারে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস চেয়েছিল মায়াবতীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে জোট গড়ে ওই রাজ্যে লড়তে। কিন্তু রাজি হননি মায়াবতী। পরিবর্তে তিনি জোট করেন কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসা অজিত জোগীর সঙ্গে। রাজ্য রাজনীতিতে যিনি এখন বিজেপি-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কংগ্রেস মনে করছে, বিজেপির ফায়দা করে দিতেই পরিকল্পিত ভাবে হাত মিলিয়েছে মায়াবতী ও অজিত যোগী। যাতে বিজেপি-বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যায় বিরোধীদের মধ্যে। স্বভাবতই বিরোধী ভোট ভাগ হলে তার সুবিধে পাবে বিজেপি। তাই কংগ্রেসের মতে, পরিকল্পিত ভাবেই আজ রামমন্দির প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছেন মায়াবতী। তিনি বলেছেন, ‘‘ভোটের আগে রামমন্দির বানানোর কাজে জোর দিয়েছে শাসক দল। অযোধ্যা বা অন্য কোথাও যত খুশি মন্দির বানালেও তাতে ভোটে কোনও লাভ হবে না।’’
একইসঙ্গে কংগ্রেসের ঘর ভাঙতে তৎপর অমিত শাহেরা। আজ কংগ্রেসের আদিবাসী নেতা রামদয়াল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করেন। কংগ্রেসের উচ্চবর্ণের নেতাদের কারণে রাজ্যের আদিবাসী নেতারা কোণঠাসা, সেই যুক্তি দেখিয়ে রামদয়াল ফের বিজেপিতে ফিরে আসেন। বিজেপি শিবিরের মতে, আদিবাসী ওই নেতার বিলাসপুর এলাকায় প্রভাব রয়েছে। তাঁর আগমনে আদিবাসীদের একাংশের সমর্থন পাওয়া যাবে বলে মনে করছে বিজেপি। যদিও রামদয়ালের দলত্যাগকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস। দল জানিয়েছে, রামদয়াল বিজেপি থেকে কংগ্রেস এসেছিলেন। এখন আবার বিজেপিতে যাচ্ছেন। ভোটের সময় এ সব হয়েই থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy