Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Ramesh Pokhriyal

শিক্ষক দিবসে প্রণব স্মরণ শিক্ষামন্ত্রীর

এ দেশের সুপ্রাচীন গুরু-শিষ্য পরম্পরা সম্পর্কে পোখরিয়ালের বক্তব্য, এক জন সফল ছাত্রের পিছনে গুরুর অবদান থাকেই। চাণক্য-চন্দ্রগুপ্ত, (রামকৃষ্ণ) পরমহংস-বিবেকানন্দের যুগলবন্দি তার প্রমাণ।

শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক

শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৫৩
Share: Save:

প্রয়াণের পরে প্রথম শিক্ষক দিবসেই শিক্ষামন্ত্রীর মুখে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম। দেশের সনাতন গুরু-শিষ্য পরম্পরার কথা বলতে গিয়ে বাংলার রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের কথাও বললেন তিনি। সেই সঙ্গে ছুঁয়ে গেলেন নিজের শিক্ষক থেকে শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার প্রসঙ্গ।

শনিবার সারা দেশের ৪৭ জন শিক্ষককে জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত করার ভিডিয়ো-অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক বলেন, “ইতিহাস সাক্ষী, শিক্ষকেরা সর্বোচ্চ পদে আসীন হন। তার শোভা বৃদ্ধি করেন। এবং সেই পদ ছাড়ার পরেও নিরন্তর দেশ নির্মাণের কাজে যুক্ত থাকেন। তা তিনি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন হোন কিংবা ভারতরত্ন এ পি জে আব্দুল কালাম বা ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায়।” এ দেশের সুপ্রাচীন গুরু-শিষ্য পরম্পরা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, এক জন সফল ছাত্রের পিছনে গুরুর অবদান থাকেই। চাণক্য-চন্দ্রগুপ্ত, (রামকৃষ্ণ) পরমহংস-বিবেকানন্দের যুগলবন্দি তার প্রমাণ।

শিক্ষক হিসেবে সর্বোচ্চ পদে আসীনের তালিকায় নিজেকে না-রাখলেও শিক্ষক থেকে শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার যাত্রাপথ ছুঁয়ে গিয়েছেন নিশঙ্ক। বলেছেন, “শিক্ষক থেকে শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার যাত্রাপথ এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। সরস্বতী শিশু মন্দিরের (বিদ্যালয়) শিক্ষক থেকে শিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলানোর পুরো অভিজ্ঞতা থেকে আমার নিজেরও মনে হয়েছে যে, শিক্ষকেরাই দেশ গড়া এবং তার পরিবর্তনের চাবিকাঠি।”

অনুষ্ঠানে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির প্রসঙ্গ তুলেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। করোনার কঠিন সময়ে সারা দেশের শিক্ষকেরা যে ভাবে অনলাইনে ক্লাস নিতে নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন, তার প্রশংসা করেছেন তিনি। একই সঙ্গে আহ্বান জানিয়েছেন, আগামী দিনে সেই প্রযুক্তির সঙ্গে অনেক বেশি সড়গড় হতে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযুক্ত পরিকাঠামো যাতে দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তের শেষতম পংক্তির পড়ুয়ারও থাকে, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন তিনি।

দেশের উন্নতির জন্য শিক্ষকদের চিন্তার স্বাধীনতা জরুরি বলে মনে করেন কোবিন্দ। নিশঙ্কের মতে, শিক্ষকের দায়িত্ব পড়ুয়াদের প্রশ্ন করতে শেখানো। যা শুনে প্রতিবাদী ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি, সংসদ কিংবা তার বাইরে কোথাও তো প্রশ্নের মুখোমুখি রাজিই নয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী কখনও সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্নের মুখোমুখি হন না। করোনা-কালে পরীক্ষা নিয়ে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের তোলা প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী কিংবা তাঁর মন্ত্রক কান দেয়নি। এখন বলা হচ্ছে সংসদেও প্রশ্নোত্তর পর্ব না-রাখার কথা! তাঁদের জিজ্ঞাসা, “পড়ুয়ারা প্রশ্ন তুললে, তা কি শুনতে রাজি সরকার?”

এ দিন শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তাঁর টুইট, “মনের বিকাশ এবং দেশ গড়ার কাজে কঠোর পরিশ্রমে নিয়োজিত শিক্ষকদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। শিক্ষক দিবসে তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই।” আর উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুর কথায়, “এই অতিমারির আক্রমণের মধ্যেও যাতে পড়াশোনা থমকে না-যায়, তা নিশ্চিত করতে যে সমস্ত শিক্ষক অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ramesh Pokhriyal Pranab Mukherjee Teachers' Day
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE