নির্মাণ: চলছে সাইকেল স্টেশনের কাজ। —নিজস্ব চিত্র
বাস, ট্যাক্সি বা মোটরসাইকেল নয়, এ বার থেকে অফিস বা দোকানবাজার যেতে গেলে সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন রাঁচীবাসীরা। তার জন্য নিজের সাইকেল না থাকলেও চলবে। পুরসভার ‘সাইকেল স্টেশন’ থেকে নামমাত্র ভাড়ায় সাইকেল নিয়ে সোজা গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন তাঁরা।
রাঁচী শহরকে দূষণমুক্ত করতে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম হিসাবে সাইকেলকে রাস্তায় নামানোর পরিকল্পনা বেশ কিছু দিন ধরেই করছিল রাঁচী পুরসভা। চলতি মাসেই সেই ভাবনা বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি হচ্ছে ‘সাইকেল স্টেশন’। সেখান থেকে কয়েক ঘন্টা ব্যবহারের জন্য সাইকেল ভাড়া নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ। রাঁচীর মেয়র
আশা লকড়া বলেন, ‘‘শহর জুড়ে ১২০টি ‘সাইকেল স্টেশন’ তৈরি হচ্ছে। দূষণ রোধ ছাড়াও, সাইকেল ব্যবহার বাড়লে মানুষ বড় রাস্তা
ছেড়ে বিকল্প ছোট রাস্তা দিয়েও গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন। এর ফলে শহরের যানজটের সমস্যাও অনেকটা কমবে।’’
ঝাড়খণ্ড নগরোন্নয়ন দফতরের অফিসার রাজেশ শর্মার কথায়, শুধু ঘন্টার হিসেবেই নয়, কেউ সাপ্তাহিক বা সারা মাসের জন্যও সাইকেল ভাড়া নিতে পারবেন। ভাড়া সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই থাকবে। সাইকেল নিতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বৈধ পরিচয় পত্রের প্রতিলিপি, ফোন নম্বর সব কিছু সাইকেল স্টেশনে জমা করতে হবে। রাজেশবাবু বলেন, ‘‘শহর জুড়ে ১২০০ সাইকেল নামানো হবে। শহরের প্রধান প্রধান রাস্তা, যেমন মহাত্মা গাঁধী রোড, কাঁকে রোড, রাতু রোড ছাড়াও কম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাতেও সাইকেল স্টেশন তৈরির কাজ চলছে।’’
যদি কেউ সাইকেল চুরি করে পালায়? রাজেশবাবু জানান, পরিচয় পত্রের প্রতিলিপি জমা থাকবে। এ ছাড়া, প্রতিটি সাইকেলে জিপিএস সিস্টেম লাগানো থাকবে। ফলে নজরদারি থাকবেই।
এই সব উদ্যোগের বহু আগে থেকেই কোম্পানির দেওয়া গাড়ি ব্যবহার না করে নিজের সাইকেলে প্রতিদিন অফিস যান সেন্ট্রাল কোলফিল্ড লিমিটেডের পদস্থ কর্তা আদিল হুসেন। পুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, এতে শহরের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy