বনকর্মীর গুলিতে জখম আকাশ ওরাং নামে কিশোরের উন্নত চিকিৎসার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে আজ দু’ঘণ্টা কাডিরাঙায় ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও আদিবাসী ছাত্র সংগঠন ওই অবরোধ করে। এর ফলে দীর্ঘক্ষণ উজানি-নামনি অসমের মধ্যে যান চলাচল বন্ধ থাকে। তাদের হুমকি, সরকার দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালীন পথ অবরোধ করা হবে। কাজিরাঙার ডিএফও শুভাশিস দাস জানান, ১৭ জুলাই সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ কোহরা রেঞ্জের মিথি টোঙ্গি শিবিরে কর্মরত অনিল কলিতা শাবক-সহ একটি বন থেকে বেরিয়ে আসা স্ত্রী গন্ডারকে বনে ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন। শিবিরে ছিলেন অপর বনকর্মী মানস বরা। সেই সময় সাত বছরের আকাশ ওই এলাকায় এসে পড়ে। অন্ধকারে বন শিবিরের আশপাশে পায়ের আওয়াজ পেয়ে মানসবাবু গন্ডার ভেবে একনলা পেলেট গান থেকে গুলি চালান। পেলেট ঢুকে জখম হয় আকাশ। তাকে প্রথমে যোরহাট পরে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। মন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম তাঁকে দেখতে গিয়েছেন। বন দফতর তার চিকিৎসার সব ভার নিয়েছে। অনিল কলিতা ও মানস বরাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মানসবাবুকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত করছেন মুখ্য বনপাল এম টুংনুং। আদিবাসী ছাত্র সংগঠনের বিচারবিভাগীয় তদন্ত, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি নিয়ে স্মারকপত্র গ্রহণ করে রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছে। বনমন্ত্রী ইতিমধ্যে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও দিয়েছেন।
অন্য দিকে, আদিবাসীদের উপজাতির স্বীকৃতির দাবিতে ও আদিবাসী জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে শান্তিচুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর করার দাবি জানিয়ে এ দিন কোকরাঝাড়ে রাজপথ অবরোধ করল আদিবাসী ন্যাশনাল কনভেনশন কমিটি। গত কাল বিকেলে ১৪টি আদিবাসী সংগঠনের যৌথ মঞ্চের নেতারা মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে দেখা হয়ে উপজাতিকরণের দাবিতে স্মারকলিপি দেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে জানান, আদিবাসীদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ এবং দক্ষতাবৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। কিন্তু তারপরেও এদিন যৌথ মঞ্চ রাস্তা অবরোধ কর্মসূচী নেয়। সংঘর্ষবিরতিতে থাকা জঙ্গি সংগঠনের নেতারাও অবরোধে অংশ নেন। তাঁরা জানান, ২০১২ সাল থেকে তাঁরা সংঘর্ষবিরতিতে থাকলেও তাঁদের দাবি পূরণে গা করছে না কোনও সরকার। অবিলম্বে দাবি না মানলে ফের জঙ্গি আন্দোলনের হুমকি দেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy