কাবাডি দলের সদস্যরা। —নিজস্ব চিত্র
ট্রেনে খাবার নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিলই। এবার পচা খাবারের সঙ্গে জুটল মারধরের হুমকিও। চরম হেনস্থার শিকার হয়ে দুঃসহ অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরলেন রাজ্য সিনিয়র কাবাডি দলের সদস্যরা। হরিয়ানার পানিপথ থেকে কালকা মেলে হাওড়া ফেরার পথে এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ খেলোয়াড়রা। যদিও রেলের তরফে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
হরিয়ানার পানিপথে জাতীয় স্তরের একটি কবাডি টুর্নামেন্ট খেলে সোমবার ভোর চারটের সময় পানিপথ জংশন স্টেশন থেকেই কালকা মেলের এস-২ কামরায় ওঠেন রাজ্য সিনিয়র দলের ৪০জন সদস্য। ট্রেনের প্যান্ট্রি কার থেকেই তাঁরা দুপুরের খাবার খান। রাতের খাবারের অর্ডারও আইআরসিটিসি-র কর্মীদের কাছেই দিয়েছিলেন তাঁরা।
দলের সদস্যদের অভিযোগ, রাতের খাবার সাড়ে আটটা থেকে ন’টার মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় রাত বারোটা নাগাদ। কিন্তু সেই খাবার পুরো পচে গিয়েছিল। ভাত পচা, ডিমও খারাপ।
আরও পড়ুন: এবার বন্যার সতর্কতা তিন দিন আগে, গুগলের সঙ্গে চুক্তি কেন্দ্রের
আরও পড়ুন: স্ত্রীর দাড়ি, আদালতে ডির্ভোসের আবেদন স্বামীর
খেলোয়াড়দের অভিযোগ, রাতে আইআরসিটিসি কর্মীদের আর পাওয়া যায়নি। তাই তাঁরা জানাতেও পারেননি। মঙ্গলবার সকালে তাঁরা প্যান্ট্রির কর্মীদের জানান, সমস্ত খাবারই পচে গিয়েছিল। খাবার শুদ্ধ ট্রে তাঁরা রেখেও দিয়েছিলেন আইআরসিটিসি-র কর্মীদের দেখানোর জন্য। কিন্তু প্যান্ট্রির কর্মীরা তা মানতে চাননি বলে অভিযোগ।
এর পর মঙ্গলবার সকালে খাবার নিয়ে তর্কাতর্কি হওয়ার পর প্যান্ট্রির ম্যানেজার বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার অনুরেধ করেন এবং খাবারের দাম দিতে হবে না বলেও জানান। কিন্তু ট্রেন হাওড়া পৌঁছতেই অন্য চেহারা ধরে ওই প্যান্ট্রি কর্মীরা। দলের সদস্য শ্রীকান্ত মণ্ডল বলেন, “প্যান্ট্রির কর্মীরা আমাদের খাবারের দাম দিতে বলেন। দিতে না চাইলে আমাদের মারধরের হুমকিও দেওয়া হয়।” রাজ্য কবাডি দলের কোচ শিবরাম মণ্ডল বলেন, “ট্রেনে ওরা নিজেরাই ঝামেলা মিটিয়ে নিতে বলে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্টেশনে আমাদের অনেকে নেমে গিয়েছিল। হাওড়ায় আমরা মোট ১২ জন নামি। দলে অনেক মহিলা খেলোয়াড়ও ছিলেন। প্ল্যাটফর্মে নামতেই ওরা ঘিরে ধরে। বলে টাকা দিতে হবে।”
মহিলা দলের কোচ সঙ্গীতা মণ্ডল বলেন, “প্যান্ট্রির কর্মীরা আমাদের ঘিরে হুমকি দেওয়া শুরু করে। বলে টাকা না দিলে বাড়ি যেতে দেওয়া হবে না। প্রতিবাদ করতেই গালিগালাজ করতে শুরু করে। তখন আমরা রেল পুলিশের কাছে যাই।”
অন্য এক মহিলা খেলোয়াড় শম্পা দাসের অভিজ্ঞতা আরও খারাপ। তাঁর অভিযোগ, তাঁর ব্যাগ আটকে রাখার চেষ্টা করছিল ওই প্যান্ট্রি কর্মীরা। শিবরাম বলেন, “আমরা ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের অফিসে কথা বলার পর এক পুলিশ অ্ফিসার আসেন। তিনি আসার পর ওই কর্মীরা চলে যায়। কিন্তু বাসে ওঠার সময় পর্যন্ত ওরা হুমকি দিয়ে যায়।”
ক’দিন আগেই পুরি-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেসে আইআরসিটিসি-র দেওয়া খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ১৪ জন যাত্রী। এছাড়াও মাঝে মধ্যেই বাসি-পচা এবং নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আইআরসিটিসির বিরুদ্ধে। ফের পচা খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠল আইআরসিটিসি-র বিরুদ্ধে। যদিও এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি রেলের কোনও আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy