প্রণব মুখোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সঙ্ঘের সদর দফতরের অনুষ্ঠান-মঞ্চে বহুত্ববাদের গুরুত্বের কথা বলেছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এ বার সঙ্ঘের দুই মুখপত্র দাবি করল, বহুত্ববাদ নিয়ে ঠিক একই কথা বহু বছর ধরে বলে আসছে আরএসএস। হিন্দি ও ইংরেজি, দুই মুখপত্রেরই বক্তব্য, হিন্দু ধর্মে এই বহুত্ববাদেরই প্রতিফলন দেখা যায়। গত ৭ জুন নাগপুরে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতের দু’টি বক্তৃতায় মিল আছে বলে তাদের দাবি।
ইংরেজি মুখপত্রটির সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, সঙ্ঘের সদর দফতরে প্রণববাবুর ওই সফর যতটা না রাজনৈতিক, তার চেয়েও বেশি জাতীয়তাবাদী। সে দিনের বক্তৃতায় ভারতের বহুত্ববাদে জোর দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয়তাবাদ ও প্রাচীন মূল্যবোধের কথা বলেছিলেন প্রণববাবু। হিন্দি মুখপত্রের একটি প্রবন্ধের বক্তব্য, ‘হিন্দু ধর্ম এই বহুত্ববাদের কথাই বলে। কিন্তু ইসলাম বা খ্রিস্ট ধর্ম তা করে না।’
হিন্দি মুখপত্রের প্রচ্ছদকাহিনিতে লেখা হয়েছে, ‘সঙ্ঘ আশা করেনি প্রণববাবু তাদের পিঠ চাপড়াবেন বা তাদের ভাষায় কথা বলবেন। কিন্তু সঙ্ঘের যেটা শিক্ষা, তার সঙ্গে ওঁর বক্তব্যের মিল রয়েছে। তিনি যা বলেছেন, এক জন কংগ্রেসি হিসেবে নিজের গণ্ডির মধ্যে থেকেই বলেছেন। এক ধরনের বৌদ্ধিক অস্পৃশ্যতার অবসানের সূচনা করল তাঁর সফর।’ হিংসা ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে প্রণববাবু যা বলেছেন, তা আসলে জঙ্গি, দেশদ্রোহী ও মাওবাদীদের উদ্দেশে বার্তা বলে ওই প্রবন্ধের দাবি।
‘ভারতের উদ্দেশে বক্তৃতা’ শীর্ষক অন্য একটি প্রবন্ধে দাবি করা হয়েছে, সঙ্ঘের প্রতি বিশ্বাস ও প্রশংসা ফুটে বেরিয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায়। সে দিন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনারা তরুণ, শৃঙ্খলাবদ্ধ, প্রশিক্ষিত ও উচ্চশিক্ষিত। যা আমাদের মাতৃভূমির প্রয়োজন।’’ প্রাবন্ধিকের দাবি, প্রণববাবু এমন স্বপ্নের কথা বলেছেন, যা শুধু সঙ্ঘই সফল করতে পারে। বক্তৃতায় গাঁধী পরিবারের নাম করেননি তিনি। এমন মঞ্চ তিনি চাইছিলেন, যেখানে এগুলো তিনি বলতে পারেন। তাই প্রবীণ গাঁধীবাদী নেতা নাগপুরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন বলে প্রবন্ধটির দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy