সুপ্রিম কোর্টের শুনানি শেষ না হলে রামমন্দির নিয়ে সরকারি পদক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। মন্দিরের সম্ভাবনা না দেখে কুম্ভে সাধুদের অস্থিরতা বাড়ছে। এমন এক জাঁতাকলে পড়ে আরএসএস নিয়ে এল মন্দির নির্মাণের নয়া সময়সীমা। যা কি না আরও ছ’বছর পর, ২০২৫ সাল! সঙ্ঘের নম্বর-টু ভাইয়াজি জোশীর মুখ থেকেই বেরোল এই নতুন তারিখ।
ছ’বছর! এমনিতেই ভোট এলে রামমন্দির নিয়ে সঙ্ঘ-বিজেপির হইচইকে ব্যঙ্গ করে বিরোধীরা বলেন, ‘মন্দির ওহি বনায়েঙ্গে, তারিখ নেহি বাতায়েঙ্গে’! স্বাভাবিক ভাবেই ভাইয়াজির কথা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাহুল গাঁধী ক’দিন আগে বলেছেন, দেশের মূল সমস্যাগুলি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই বিজেপি প্রতি বার ভোটের মুখে এই বিষয়টি হাওয়া তোলার চেষ্টা করে। এমনকি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বেকারত্বের মতো গুরুতর সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতেই বিজেপি রামমন্দিরকে ব্যবহার করে।
যে যা-ই বলুক, সঙ্ঘের সমস্যা তো অন্য। এত দিন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা আইন বা অধ্যাদেশ এনে মন্দির নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু বিজেপিরই একাংশের মূল্যায়ন, মন্দির হাওয়ায় আর ভোট আসছে না। তাই সুপ্রিম কোর্টের মামলাকে সামনে রেখে মন্দির-প্রশ্ন জিইয়ে রাখতে চাইছে তারা। হাওয়া তোলার ভার সঙ্ঘ পরিবারকে দিয়েছে বিজেপি। কুম্ভের জমায়েতকে যে কারণে কাজে লাগানো হচ্ছে। ভোটের আগে হাওয়া উঠলে সরকার কিছু করবে বলে আশা বিশ্ব হিন্দু পরিষদেরও।
কিন্তু তা যদি না হয়? সঙ্ঘের বক্তব্য, সে কারণেই সরকারকে খোঁচা দিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ভাইয়াজি। পরে অবশ্য বিতর্কের মুখে বলেন, তিনি ২০২৫ সালে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা বলেননি। এখন থেকে কাজ শুরু হলে ৫ বছরে শেষ হবে। কিন্তু তাতেও ‘পাঁচ’ বছরের হিসেব মিলছে না। সঙ্ঘের তরফে পরে আর একটি বিবৃতিতে বলা হয়, পরের কুম্ভ ৬ বছর পর। তাই ৬ বছরের কথা বলা হয়েছে।
মোদীর মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহ উভয়েই দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। সাংবিধানিক পথে চলার কথা জানিয়েছেন। তবে ভাইয়াজির কথা নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। কারণ, তিনি সঙ্ঘের মুখপাত্র নন।
চুপ থাকেনি কংগ্রেস। দলের নেতা হরিশ রাওয়ত বলেছেন, একমাত্র কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তবেই হবে রামমন্দির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy