মোহন ভাগবত। — ফাইল চিত্র।
রাফালের ধার বাড়াচ্ছেন রাহুল গাঁধী, আর রামমন্দির নিয়ে সুর চড়াচ্ছে সঙ্ঘ।
মহারাষ্ট্রের ঠানেতে আরএসএসের তিন দিনের বৈঠকের শেষ দিনে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও পৌঁছে যান সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গে কথা বলতে। এর পরেই সরকার্যবাহ সুরেশ ভাইয়াজি জোশী বলেন— এত দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই শুনানি অগ্রাধিকার নয়। এতে হিন্দুরা অপমানিত বোধ করেছেন। শীর্ষ আদালতের উচিত এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিচার করা। ভাইয়াজিকে প্রশ্ন করা হয়, এই পরিস্থিতিতে কি ফের ৯২ সালের মতো আন্দোলনে নামবে সঙ্ঘ? আরএসএস নেতার জবাব, ‘‘দরকার হলে নামব!’’
শিবসেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরে আবার সঙ্ঘকে ঠেস দিয়ে বলেছেন, ‘‘মন্দির নিয়ে যদি আন্দোলনেই নামতে হয়, তার আগে মোদী সরকারকে ভেঙে দিচ্ছেন না কেন?’’ উদ্ধবের অভিযোগ, মোদী সরকার গঠনের পরে মন্দিরের বিষয়টিকে বেমালুম আড়ালে সরিয়ে রাখা হয়। শিবসেনা যত বার সেটা তুলেছে, সঙ্ঘ কানেও তোলেনি। ভোটের আগে এখন তারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। আর একটি সংগঠন অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতিও মন্দির সমস্যার সমাধান খুঁজতে কাল থেকে দিল্লিতে সম্মেলন শুরু করছে।
সুপ্রিম কোর্ট শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার পর থেকেই সঙ্ঘ পরিবার আইন এনে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের দাবি তুলেছে। সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বিজেপি সাংসদ রাকেশ সিন্হা ‘প্রাইভেট মেম্বার বিল’ এনে গত কাল রাহুল গাঁধী থেকে অখিলেশ-মায়াবতীদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন। কিন্তু সরকার বুঝতে পারছে, এমন আইন আনাটা কঠিন।
সঙ্ঘ নেতার মতে, ‘‘আইন বা অধ্যাদেশের বিষয়টি সরকারের এক্তিয়ার। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও সরকার আইন না আনলে, সেটি আদালতের উপর বিশ্বাসের কারণেই। কিন্তু মামলার সংবেদনশীলতা আদালতের বোঝা উচিত।’’
বিশ্ব হিন্দু পরিষদও স্থির করেছে, সব লোকসভা কেন্দ্রে রামমন্দিরের দাবিতে সভা করা হবে। সব দলের সাংসদদের কাছে গিয়েও দাবি জানানো হবে, যাতে তাঁরা সংসদে আইনকে সমর্থন করেন। কংগ্রেসের নেতারা আজ বলেন, আসলে রাফাল নিয়ে রাহুল গাঁধীর অভিযোগের কোনও জবাব দিতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী। আবার সুপ্রিম কোর্ট রামমন্দির শুনানি পিছিয়ে দেওয়ায় হিন্দুদের রোষের মুখেও পড়েছেন মোদী। এখন এ সব থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই ফের রামমন্দিরের হাওয়া তোলা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy