তাঁকে ফাঁসানোর জন্য তথ্য প্রমাণ সাজানো হয়েছে, আদালতে আজ এ কথা জানালেন সলমন খান। গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা মামলায় আজ মুম্বইয়ের দায়রা আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন সলমন। বলিউড অভিনেতার আইনজীবী শ্রীকান্ত শিভাড়ে বিচারক ডি ডব্লিউ দেশপান্ডেকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার রাতে সলমন গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। গাড়ির স্টিয়ারিং ছিল সলমনের চালক অশোক সিংহের হাতে। সপ্তাহখানেক আগে এই মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে অশোক নিজেও ঠিক একই দাবি করেছিলেন। আজ ফের একই কথা আদালতকে জানিয়েছেন সলমনের কৌঁসুলি। চূড়ান্ত শুনানিতে শ্রীকান্ত আদালতকে জানিয়েছেন, শুধু মাত্র ঘটনার পরে চালকের আসনের পাশের দরজা দিয়ে নামার মানে এই নয় যে সে রাতে সলমনই ওই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সেই সঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, সলমন যে সে দিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তার কোনও প্রমাণই আসলে নেই।
সলমনের ওই বিদেশি এসইউভি সে দিন ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে চলছিল বলে সরকারি আইনজীবী যে দাবি করেছিলেন, তা-ও আজ ভুল বলে জানিয়েছেন সলমনের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, সে দিন মুম্বইয়ের ওই পাঁচতারা হোটেল থেকে বেকারি (দুর্ঘটনাস্থল) পৌঁছতে যে সময় লেগেছিল, গাড়ির গতি অত বেশি থাকলে, সেই সময় লাগা কখনওই সম্ভব নয়। দুর্ঘটনার পরে এইআইআর করার সময় পুলিশের গাফিলতির দিকটিও আজ তুলে ধরেছেন সলমনের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, এফআইআরে অশোকের গাড়িতে উপস্থিতির কথাই পুলিশ লেখেনি। যাতে পুরো ঘটনার দায় সলমনের উপর চাপে।
গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা মামলায় খানিকটা স্বস্তির জায়গায় থাকলেও আজ একটি অস্ত্র মামলায় ফের ধাক্কা খেয়েছেন সলমন। এই অস্ত্র মামলার সঙ্গে আসলে ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার যোগ রয়েছে। আজ এই মামলায় সলমনের একটি আর্জি খারিজ করে দিয়েছে রাজস্থান হাইকোর্ট। সম্প্রতি এই মামলায় আরও চার জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজস্থানের এক নিম্ন আদালত।
কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সলমন। সেই আর্জিই আজ খারিজ হয়ে গিয়ে নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy