প্রণাম: মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের (ডান দিকে) পুজো। বুধবার শিলচরে। ছবি: হিমাংশু দে
বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানের সঙ্গে ‘নবপত্রিকা’ পুজোকে মিশিয়ে দিল অসমের বিজেপি সরকার। নাম ‘বৃক্ষপূজন’ দেওয়া হলেও নবপত্রিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কলা, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক, মানকচু ও ধান গাছকে সামনে রেখে সারা হল মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের ‘বৃক্ষপূজন’। রাখা হয়েছিল বট ও তুলসীর চারাও। তিনি অঞ্জলিও দিলেন। ছিলেন রাজ্যের বন ও পরিবেশমন্ত্রী পরিমল শুক্ল বৈদ্য। ঘণ্টাখানেক ধরে চলে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ।
বনমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘বৃক্ষপূজন ভারতীয় সংস্কৃতির পরম্পরা। বট-বেল-তুলসীর পূজা এই দেশের সংস্কৃতি। বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন শুরু হয় এই সে দিন, ১৯৭২ সালে। ভারতে গাছের পূজা, প্রকৃতির আরাধনা বহু প্রাচীন।’’ অসম সরকার আয়োজিত পরিবেশ দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানটি হল শিলচরে। প্রধান অতিথি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হয়েই চলে যান পুজোর জায়গায়। পুরোহিতরা শান্তিবারি ছিটিয়ে তাঁর ও রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনা করেন।
পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পুজোতেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।’’ রাজ্যবাসীর উদ্দেশে আহ্বান জানান, বছরে দু’টি করে গাছ লাগান। তাহলে অসমে ৬ কোটি ৬০ লক্ষ গাছের চারা রোপণ করা হবে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘তা যদি করা যায়, তাহলে বিশ্বের বিভিন্ন শহর থেকে মানুষ বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য অসমে ছুটে আসবেন। তাতে পর্যটন বাড়বে, বাড়বে রাজ্যের অর্থনীতির বুনিয়াদও।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন গড়ে তোলার ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীকে স্মরণ করল ব্রিটেনের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়। পরিবেশ রক্ষায় গাঁধীর অবদানের কথা মনে রেখে একটি গাছ লাগানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy