২৫ বছর আগের সে দিন। ছবি আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসে লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশীদের বিরুদ্ধে ফের ষড়যন্ত্রের মামলা শুরু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিল সুপ্রিম কোর্ট।
ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সজীব হয়ে উঠলে অস্বস্তিতে পড়তে পারেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতারা। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে পারেন আডবাণী। এ বছরেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আডবাণী রাষ্ট্রপতির প্রার্থী হতে চান — বিজেপিতে এমন জল্পনা রয়েছে। আডবাণী এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানাননি। তবে বিজেপির অনেকেই মনে করেন, রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসতে চান আডবাণী। সঙ্ঘ পরিবারের একাংশও তাঁকে ওই পদে চাইছে না। ষড়যন্ত্রের অভিযোগের খাতা খুললে রাইসিনা হিলসে পৌঁছনোর কাজটা তাঁর পক্ষে শক্ত হয়ে পড়বে।
তবে উত্তরপ্রদেশের শেষ পর্বের ভোটের আগে বাবরি মামলা নিজে থেকেই এ ভাবে উঠে আসায় বিজেপির অনেকই খুশি। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও নরেন্দ্র মোদীর দলের নেতারা মনে করছেন, এই বিতর্ক ভোটের মেরুকরণে সাহায্য করবে। উত্তরপ্রদেশে মেরুকরণের জন্য যাবতীয় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মোদী-অমিত শাহেরা। তিন দিন ধরে বারাণাসীতে পড়ে থেকে সেই চেষ্টাই করছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ প্রচারের শেষ দিনে বাবরি বিতর্কে হাওয়া লাগায় দৃশ্যত খুশি বিজেপি নেতারা।
১৯৯২-এ অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে রায়বরেলীতে করা এফআইআরে নাম রাখা হয়েছিল আডবাণী, জোশীদের। কিন্তু রায়বরেলীর আদালত বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে আডবাণীদের রেহাই দেয়। ইলাহাবাদ হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের সেই রায়ই বহাল রাখে। সিবিআই একে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। শীর্ষ আদালত আজ এই মামলাতেই ইঙ্গিত দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সোমবার বলেছে, ‘‘পদ্ধতিগত কারণে আডবাণী ও অন্যদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ খারিজ হতে দেব না। ১৩ জনের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে, তাকে নিয়ে আপনারা (সিবিআই) অতিরিক্ত চার্জশিট দিন।’’
২০১০-এ ইলাহাবাদ হাইকোর্ট আডবাণী- সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাবরি ধ্বংসে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খারিজ করেছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি পি সি ঘোষ ও আর এস নরিমানের যৌথ বেঞ্চ আজ আডবাণী-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খতিয়ে দেখার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ২২ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy