গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গো-রক্ষার নামে হোক, বা হোয়াট্সঅ্যাপে ছড়ানো শিশুচুরির গুজব, গণপিটুনির প্রবণতা নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। এই ধরনের ঘটনার মোকাবিলায় এ বার সংসদকে নতুন আইন আনার পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মহাত্মা গাঁধীর নাতির ছেলে তুষার গাঁধী-সহ সমাজকর্মীদের দায়ের করা একটি পিটিশনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত রাজ্যগুলিকে এই বিপদ কড়া হাতে দমনের পরামর্শ দিয়েছে।
বিভিন্ন রাজ্যে স্বঘোষিত গোরক্ষকদের তাণ্ডব ও মোবাইল গুজবে গণপিটুনির বিষয় উল্লেখ করে শীর্ষ আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন তুষার গাঁধী, তেহসিন পুনওয়ালা-সহ বেশ কয়েক জন সমাজকর্মী। সেই পিটিশনের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট বার্তা দেয়, এই ধরনের ঘটনার আগাম প্রতিরোধ ও দমন করতে এবং শাস্তি দিতে নতুন গাইড লাইন তৈরি করুক আইনসভা। প্রয়োজনে নয়া আইন আনা হোক, যেখানে কড়া শাস্তির বিধান থাকবে এই স্বঘোষিত গোরক্ষক বা শিশুরক্ষকদের বিরুদ্ধে। প্রয়োজনে শুধু গণপিটুনির জন্যই আলাদা আইন তৈরি করুক সংসদ। একইভাবে আলাদা আইন আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকেও।
এই মামলায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘ভয় ও অরাজকতার ক্ষেত্রে রাজ্যকে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। হিংস্রতা বরদাস্ত করা যাবে না।’’ মোবাইলে গুজবের জেরে গণপিটুনির মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা নুতন প্রবণতা হয়ে উঠুক এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কঠোর হাতে এর মোকাবিলা করতে হবে।’’ এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ করেছে রাজ্যগুলি, সে বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: শিশু বিক্রির অভিযোগের জের, মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব হোমে তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের
আরও পড়ুন: মোবাইলে পর্ন দেখে আট বছরের মেয়েকে গণধর্ষণ পাঁচ নাবালকের
হোয়াট্সঅ্যাপে শিশু চুরির গুজবে মহারাষ্ট্রে পাঁচ জনকে পিটিয়ে হত্যার পরই একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, কোনও কিছু রক্ষার নামে যে কোনও ধরনের হিংসা বন্ধ করা দরকার। কিন্তু শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ অধিকাংশ রাজ্য সরকারই মানছে না বলে অভিযোগ তুলে আদালত অবমাননার মামলাও দায়ের করেন ওই সমাজকর্মীরা। আগামী ২৮ অগস্ট ওই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy