প্রতীকী ছবি।
মাসে সাতশো পঞ্চাশ টাকা। তা-ও মেলেনি গত মে মাস থেকে। তাই সকাল হতেই ব্যাঙ্কের দরজায় গিয়ে দাঁড়ান পঞ্জাবের মোগা জেলার ৬৫ বছর বয়সি বৃদ্ধা গুরতেজ কৌর। কিন্তু প্রতিবারই খালি হাতে ফিরে আসতে হয় তাঁকে।
সেলাই করে কোনও মতে দিন কাটে গুরতেজের। দরিদ্র পরিবারে তিনি ছাড়া রোজগার করার কেউ নেই। ভরসা ছিল বার্ধক্যভাতা। কিন্তু পঞ্জাবে এই ভাতা নিয়ে বিরাট কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস হতেই গুরতেজের মতো অনেককেই চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। সরকারি সূত্রের দাবি, রাজ্যে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ অবৈধ ভাবে বার্ধক্যভাতা তুলছিলেন। যার জন্য কোষাগারে লোকসানের অঙ্ক প্রায় ১৬২ কোটি টাকা। অমরেন্দ্র সিংহের সরকার ওই নামগুলিকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে টাকা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছে। যা নিয়ে রাজনীতির চাপানউতোরও শুরু হয়ে গিয়েছে। একে ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়েছে অকালি দল। আপ আবার কেলেঙ্কারিতে যুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে।
এই টানাপড়েনের মধ্যে আটকে গিয়েছে বার্ধক্যভাতা। সরকারি সূত্রের দাবি, ২০১৫ সালে প্রকাশ সিংহ বাদলের নেতৃত্বে অকালি-বিজেপি সরকারের আমলে এই কেলেঙ্কারির শুরু। ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করে অনেকেই বার্ধক্যভাতা তুলে নিয়েছিলেন। এখন অমৃতসর, মানসা, মুক্তসার জেলাগুলি থেকে বড় ধরনের কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy