প্রতীকী ছবি।
আলিগড়ে শিশুকন্যা খুনের ঘটনার প্রেক্ষিতে টপ্পল জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। নিহতের বাড়ির ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও ব্যক্তির প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই নির্দেশিকা লঙ্ঘনের অভিযোগে আজ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত রবিবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের টপ্পল এলাকায় পুলিশ উদ্ধার করে তিন দিন আগে নিখোঁজ হওয়া এক শিশুকন্যার পচা-গলা দেহ। নিহতের দুই প্রতিবেশী যুবক জাহিদ ও আসলামকে গ্রেফতারও করা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে রীতিমতো আলোড়ন ছড়ায়। সূত্রের খবর, টপ্পলে আজও যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে বিরাট পুলিশ বাহিনী, র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকায় জমায়েত করতে বাসিন্দাদের নিষেধ করা হয়েছে। জেলার (গ্রামীণ)পুলিশ সুপার মণিলাল পাতিদার বলেন, ‘‘অঞ্চলের বিশিষ্ট মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষপ্রকাশ করেছেন। মহাপঞ্চায়েত বাতিল করা হয়েছে।’’ ওই পুলিশ অফিসারকে প্রশ্ন করা হয়, ঘটনার পরে অভিযুক্তদের পরিবার এবং বেশ কয়েকটি মুসলিম পরিবার এলাকা ছাড়ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তিনি অবশ্য ওই ধরনের খবর উড়িয়ে দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এলাকাবাসীর আস্থা ফেরাতে অনেক জায়গায় আজ সকালে ফ্ল্যাগমার্চ করে পুলিশ, র্যাফ। আজ টপ্পলে যাওয়ার চেষ্টা করেন হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী প্রাচী। কিন্তু পুলিশ তাঁকে সেখান যেতে দেয়নি। জেলার এসপি(সিনিয়র) আকাশ কুলহারি বলেন, ‘‘পরিস্থিতির কথা ভেবেই সাধ্বী প্রাচীকে টপ্পল সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়েছে।’’
নিহত শিশুকন্যার পরিবার অভিযোগ করেছিল, পুলিশ তাদের অভিযোগ নিতে এবং তদন্তে গরিমসি করেছে। কুলহারি জানিয়েছেন, ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাঁচ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষপুরে আজ এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জালৌনে জঙ্গল থেকে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy