শ্রীশৈলম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চলছে আগুন নেভানোর কাজ। শুক্রবার। ছবি: পিটিআই
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন লেগে তেলঙ্গানায় মৃত্যু হল ন’জনের। গত কাল রাতে ভূগর্ভস্থ শ্রীশৈলম প্ল্যান্টের এক নম্বর ইউনিটে আগুন লাগে। সেই সময়ে অন্ততপক্ষে ২০ জন কর্মী ভিতরে ছিলেন। ১১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও আটকে পড়েন ন’জন। আজ সকালে তাঁদের দেহগুলি উদ্ধার হয়।
মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক জন ডিভিশন ইঞ্জিনিয়র, চার জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র, দু’জন জুনিয়র প্ল্যান্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং একটি বেসরকারি ব্যাটারি সংস্থার দু’জন কর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চলেছে। টানেল থেকে ঘন ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছে সারা দিন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে সিআরপি জওয়ানেরাও। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানার সীমানায় অবস্থিত এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে অন্ধপ্রদেশ সরকারও।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ অগ্নিকাণ্ড শুরু হয় শ্রীশৈলম বাঁধের তীরে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটিতে। এর আগে কখনও এটিতে অগ্নিকাণ্ড হয়নি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দিয়েও এড়ানো যায়নি বিপদ। তেলঙ্গানা ট্রান্সমিশন কর্পোরেশনের সিইডি ডি প্রভাকর রাও বলেন, ‘‘আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট ইউনিটটি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা করা যায়নি। তখন ৪০০ কেভি ইনপুটটিকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ফলে সব ক’টি ইউনিটই বসে (ট্রিপ করে) যায়।’’
এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই কেন্দ্রটি বিভিন্ন স্তরে পরিচালিত হয়। যাঁরা কন্ট্রোলরুমে ছিলেন, আগুন লাগার পরে তাঁরা বেরিয়ে আসেন। কিন্তু যাঁরা আরও নীচে ছিলেন, তাঁরা ধোঁয়ার কারণে বেরোতে পারেননি। বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ হওয়ায় উদ্ধারেও কিছুটা সমস্যা হয়।’’
অগ্নিকাণ্ডে মৃত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, ‘‘শ্রীশৈলম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এই অগ্নিকাণ্ড অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আশা করি আহতেরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিদ্যুৎমন্ত্রী জগদীশ রেড্ডি-সহ অন্যান্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আগুন ও ধোঁয়া সম্পূর্ণ না-নিভলে তদন্ত শুরু করা বা কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানা সম্ভব নয়। আপাতত ভিতরে আর কেউ আটকে থাকলে তাঁদের উদ্ধার করাই প্রধান কাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy